করোনা মহামারিতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালটিতে (সিপিএইচ) ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালটি আড়াইশ’ শয্যা রয়েছে। করোনার চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালটি এখন ভরসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শুধু পুলিশ সদস্যরা নয়, মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও করোনা আক্রান্ত হলে ছুটছেন পুলিশ হাসপাতালে।
এ অবস্থায় হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাড়ছে আইসিইউ এবং এইচডিইউর সংখ্যাও। হাসপাতালের কলেবর বৃদ্ধিতে পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ ব্যক্তিগতভাবে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন।
পুলিশ হাসপাতালের এডিশনাল এসপি সাইফুল ইসলাম শান্তু বলেন, বর্তমানে পুলিশ হাসপাতালে তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন। ১৫টি আইসিইউ এবং ৩৫টি এইচডিইউর প্রায় সবগুলোতে রোগী ভর্তি। এদের বেশির ভাগই পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ সদস্য। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের আক্রান্তের হার এবার তুলনামূলক কম। প্রথম দফায় পুলিশে গণহারে সংক্রমণ দেখা দেয়। এ সময় মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি ছিল।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. খালেদ মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, এবার পুলিশে সংক্রমণ কম হওয়ার অন্যতম কারণ বাহিনীতে অনেকেই টিকা নিয়েছেন। আবার টিকা নেওয়ার পরও যেসব পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের তেমন কোনো জটিলতা দেখা যাচ্ছে না। প্রায় ১৬-১৭ জন পুলিশ সদস্য দ্বিতীয় দফা সংক্রমিত হন।
তাদের মধ্যে কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি। তারা মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের উপসর্গ নিয়ে আসেন। ২-১ জনের মধ্যে সংক্রমণের তীব্রতা ছিল। তবে কারও মধ্যে ভয়াবহ সংক্রমণ বা আইসিইউনির্ভরতা দেখা যায়নি।
পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি হাসানুল হায়দার বলেন, পুলিশ বাহিনীর দুই লাখের বেশি সদস্যের মধ্যে বড় একটি অংশ ইতোমধ্যে টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। প্রথম ডোজ নেওয়ার এক মাস পর যাদের সংক্রমণ ধরা পড়ছে তাদের উপসর্গ মৃদু। তাছাড়া একবার করোনা আক্রান্ত হলে এন্টিবডি ছয় মাস বা আট মাস থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।