বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশের সঙ্গে যাত্রী চলাচলও বন্ধ। জরুরি প্রয়োজনে কেউ আসা-যাওয়া করতে চাইলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে রয়েছে রুট পরিবর্তনের ঝক্কিঝামেলা।
এরই মধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ সময় আন্তর্জাতিক সব ক’টি রুটে ফ্লাইট বন্ধ রাখবে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক সূত্র বলছে, ফ্লাইট চলাচল সম্পূর্ণ নির্ভর করছে সরকারের বিধিনিষেধের ওপর। আগামী বুধবার থেকে লকডাউন হলে বেবিচকও সেভাবে যাত্রীবাহী ফ্লাইটে কড়াকড়ি আরোপ করবে। তবে গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাইকমিশন, দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকদের বহনে বিশেষ ফ্লাইট চালুর সুবিধা থাকবে।
এ ছাড়া কার্গো ফ্লাইট চলাচলে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে না। এক্ষেত্রে কার্গো ফ্লাইটের পাইলট, ক্রুদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী করোনা স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মানতে হবে।
বেবিচকের এক কর্মকর্তা জানান, করোনা মহামারীর মধ্যে চিকিৎসা, ব্যবসা কার্যক্রমের জন্য গত বছর ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তি হয়। সেভাবে ভারতে এখনো নিয়মিত নির্দিষ্ট ফ্লাইট চলাচল করছে। তবে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে সেই চুক্তিও স্থগিত হতে পারে।
জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে সরকার দেশের অভ্যন্তরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলে আমরাও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করব।