নিজের নিরাপত্তা ও মায়ের সন্ধান চেয়ে ঝর্নার ছেলের জিডি

নিজের নিরাপত্তা ও মায়ের সন্ধান চেয়ে ঝর্নার ছেলের জিডি

বাংলাদেশ

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা তার পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেন না, মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য সন্ধান চেয়ে পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ঝর্ণার বড় ছেলে। শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে পল্টন থানায় সে এ জিডি করেছে।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ‘পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’

জিডিতে ঝর্ণার ছেলে উল্লেখ করেছে, গত ৪-৫ দিন ধরে সে ও তার পরিবারের কেউ মায়ের (ঝর্ণা) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। ঝর্ণার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ। সর্বশেষ যখন মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিল, তখন তার মা তার অবস্থান বলেনি।

পল্টন থানার ৫৪৫ নম্বর জিডিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি আমি আমার মায়ের ঘটনায় ফেসবুকে একটি লাইভ করি। এরপর থেকেই আমাকে নানা মহল থেকে ফোন দিয়ে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে ৩ এপ্রিল এক নারীর (ঝর্ণা) সঙ্গে অবস্থান করার সময় অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। ওই দিন তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সঙ্গে থাকা ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। যদিও কয়েকটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী জানতেন না।

মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দুই সন্তান আবদুর রহমান ও তামিম তাদের বাবার সঙ্গে খুলনায় থাকে। আবদুর রহমান কয়েক দিন আগে ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে তার বিচার দাবি করে। পাশাপাশি আবদুর রহমান তার মা-বাবার বিচ্ছেদ ও তাদের পরিবার ধ্বংসের জন্য সরাসরি মামুনুল হককে দায়ী করে।

মামুনুল হক হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং খেলাফত মজলিসের মহাসচিব। রয়েল রিসোর্টে তিনি ঘেরাও থাকা অবস্থায় স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। পরে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *