ভারতে দৈনিক সংক্রমণ দেড় লাখের কাছাকাছি

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ দেড় লাখের কাছাকাছি

আন্তর্জাতিক

ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৪ দিন ধরে ১ লাখ ছাড়াচ্ছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এবার দেড় লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেল।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ১ লাখ ১৫ হাজার, ১ লাখ ২৬ হাজার, ১ লাখ ৩১ হাজার আক্রান্তের পর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার রোগীর শরীরে। এ ছাড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়িয়ে দিয়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও।

দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ৯২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৯৪ জনের। এ নিয়ে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জন মারা গেল।

এ ছাড়া সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৬৭ হাজার ২৩ জন। এর জেরে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হলো ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩১ জন। এটিও একটি রেকর্ড। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ১৭ হাজার। তার পর থেকে একটু করে হলেও কমছিল। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে তা দেড় লাখের নিচে নেমেছিল। তার পর বাড়তে বাড়তে শনিবার এই পর্যায়ে পৌঁছাল।

এদিকে করোনায় সবচেয়ে সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে শনিবার সপ্তাহান্তে লকডাউন জারি করা হয়েছে। সংক্রমণ তীব্র রূপ নেওয়া ও টিকায় ঘাটতি থাকার প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ভারতের অনেক রাজ্যই করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। মহারাষ্ট্র ও এর রাজধানী মুম্বাইয়ে রেস্টুরেন্টসহ বন্ধ এবং পাঁচজনের বেশি লোক একত্রে জড়ো হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রাজ্যের সাড়ে ১২ কোটি লোককে এপ্রিলের শেষ নাগাদ শনিবার থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে লকডাউনে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যেতে পারবে না।এ ছাড়া ছত্তিশগড়ের রায়পুর জেলাতেও ১০ দিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে।এ দিকে দেশটির ১৩০ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে এ পর্যন্ত মাত্র ৯ কোটি ৪০ লাখ ডোজ করোনার টিকা সরবরাহ সম্ভব হয়েছে।

মেগাসিটি মুম্বাইয়ে বৃহস্পতিবার ৭১টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ২৫টিতে টিকা সরবরাহে ঘাটতি ছিল।বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও টিকা উৎপাদন বিষয়ে খুব চাপের মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *