বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ থেকে ২৯ হাজার ৪৫৪ মেগাওয়াট উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে স্রেডা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হলে রিসোর্স ম্যাপিং খুব জরুরি। এখন সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে রোডম্যাপিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে রোডম্যাপ সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যুতের প্রধানতম সোর্স হলো সৌর বিদ্যুৎ। তাই এখন এ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আরো জানান, বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে যে টার্গেট ধরা হয়েছিল, তা শুধু জমির সংকটের কারণে পূরণ করা যায়নি। জমি পাওয়ার জটিলতার ফলে বাসা-বাড়ি-অফিস-আদালতের ছাদ ব্যবহারের চিন্তা করা হয়েছিল। সেই উদ্যোগে ব্যক্তি মালিকানা থেকে কেউ নিজ থেকে এগিয়ে এসেছেন, আবার অনেককেই আসেননি।
এখন নদ-নদী খননের পর তীরবর্তী স্থান এবং সরকারি দফতরগুলোর ছাদ পরিপূর্ণভাবে যদি ব্যবহার করা যায়, সেখান থেকে কিছু চাহিদা পূরণ হবে। রোডম্যাপে এসব বিষয়ে বলা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। সবাই পরিবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশকেও এ বিষয়ে ভাবতে হবে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে। বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্য শিল্প কারখানা। এসব বিষয় মাথায় রেখে সরকার নতুন করে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। সে পরিকল্পনায় ২০৪১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার মেগাওয়াট। আর নবায়নযোগ্য উৎস থেকে যার অর্ধেকই আসবে।