ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে রিয়াদ নতুন শান্তি উদ্যোগের প্রস্তাব দেওয়ার এক দিনের মাথায় সৌদির আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আভা বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ কিংবা সৌদি জোটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে হামলার খবর নিশ্চিত করা হয়নি। রয়টার্স ।
ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে ছয় বছর ধরে লড়াই চালাচ্ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট। এর জবাবে হুথিরা প্রায়ই সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে আসছে। এর আগেও বেশ কয়েক বার আভা বিমানবন্দরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার নতুন হামলার পর হুথি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া এক টুইটার পোস্টে বলেন, ‘আগ্রাসন এবং অবরোধ যতক্ষণ চলবে ততক্ষণ আমাদের অভিযানও চলবে।’
এর আগে সোমবার ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে নতুন শান্তি উদ্যোগের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। রিয়াদ বলছে, সানা বিমানবন্দর পুনরায় চালু এবং হুদাইদাহ বন্দর ব্যবহার করে জ্বালানি ও খাদ্য আমদানির অনুমতিও এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বর্তমানে সানা বিমানবন্দর এবং হুদাইদাহ বন্দর হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই প্রস্তাব মেনে নিতে হুথিদের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র।
হুথিদের মুখ্য মধ্যস্থতাকারী বার্তাসংস্থা জানিয়েছেন রিয়াদের প্রস্তাবে আকাশ এবং সমুদ্রপথের অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি সম্পূর্ণ মানা হয়নি। তারপরও শান্তি চুক্তি নিয়ে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওমানের সঙ্গে তারা আলোচনা চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ছয় বছর আগে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। তারপর থেকে এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। কয়েক লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। পুরো ইয়েমেন দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে।