‘আম্পায়ারস কল’ রাখার পক্ষে আইসিসি

‘আম্পায়ারস কল’ রাখার পক্ষে আইসিসি

খেলাধুলা

ক্রিকেটে প্রযুক্তির ব্যবহার বেশ গতি এবং নির্ভুল ফলাফল দিতে সাহায্য করেছে। সেই সুবাদে প্রযুক্তি ব্যবহারের সাপেক্ষে লেগ বিফোর উইকেট রিভিউয়ের আবেদনের সুযোগও তৈরি করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে রিভিউতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত কখনো বহাল থাকে, যা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। এমন নিয়ম বাতিল চেয়ে আবেদন করা হলেও পর্যালোচনা সাপেক্ষে ‘আম্পায়ারস কল’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

এর আগে শচীন টেন্ডুলকার আম্পায়ারস কল না রাখার ব্যাপারে কথা বলেছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও একই সুরে কথা বলেছিলেন। ক্রিকেটীয় সাধারণ জ্ঞান অনুসারে, সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত আউট কিংবা নট আউট। এক্ষেত্রে কোন বল কতটুকু স্ট্যাম্পে লেগেছে, এটি বিবেচ্য নয়।

এমন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে বিশ্বের সাবেক দলগুলোর অধিনায়ক যেমন অ্যান্ড্রে স্ট্রস, রাহুল দ্রাবিড়, মহেলা জয়াবর্ধন, শন পোলকসহ সেরা ম্যাচ রেফারি যেমন রঞ্জন মাদুগল, আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং মিকি আর্থার কথা বলেন সম্প্রচারক, ‘হক-আই বিশেষজ্ঞ’ এবং বলের গতিবিধি নজরদারি করার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর শেষ পর্যন্ত ‘আম্পায়ারস কল’ রাখতেই রাজি হয় আইসিসি। কারণ, কোহলির অভিযোগ যে দ্বিধা নিয়ে, সেই দ্বিধা প্রযুক্তি ব্যবহারেও কাটবেনা। প্রযুক্তি দিয়েও বলের গতিবিধি সম্পূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায় না। তাই খানিকটা বল স্টাম্পের ভেতরে কিংবা বাইরে থাকা অবস্থায় প্যাডে লাগলে সে ক্ষেত্রে আম্পায়ারের কথাই মুখ্য।

সম্প্রতি চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড এবং ভারত ৬৫টি রিভিউ আবেদন করে। এদের মধ্যে ৫৩টি বিফলে যায় ও ১৬টি আম্পায়ারস কল হিসেবে ধরা হয়। তাই এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে নেবে তা জানা যায়নি। কিন্তু  প্রযুক্তির পরিপূর্ণ ব্যবহার হলে হয়তো কোনো এক সময় এই নিয়মেও পরিবর্তন আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *