কদিন আগেই শেষ হলো শীত। এরই মাঝে দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে দাবদাহ। প্রচণ্ড এ গরম সহ্য করা কর্মজীবী মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমের এ দাবদাহ শেষ হতেই দেশের একাধিক স্থানে কালবৈশাখী আঘাত হানবে বলে জানা গেছে।
বৃষ্টি শেষ হলে আবারও তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, দেশের অধিকাংশ স্থানে বয়ে যাওয়া দাবদাহ আরও দুদিন থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে এবং আঘাত হানবে কালবৈশাখী ঝড়।
ওমর ফারুক আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা রেখে বলেন, দিনে অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে, তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে পাঁচদিনের বর্ধিত দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দাবদাহ বয়ে যাওয়া এলাকার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা (৩৭.৭), টাঙ্গাইল (৩৬.৪), ফরিদপুর (৩৭.৫), গোপালগঞ্জ (৩৬.৫), চট্টগ্রাম (৩৮.৭), সন্দ্বীপ (৩৭.৯), রাঙ্গামাটি (৩৮.৫), কুমিল্লা (৩৬.৯), চাঁদপুর (৩৬.৭), মাইজদীকোর্ট (৩৬.৩), ফেনী (৩৮.৫), হাতিয়া (৩৬.৬), কক্সবাজার (৩৬.৭), কুতুবদিয়া (৩৮.৬), সিলেট (৩৬.৪), শ্রীমঙ্গল (৩৬), রাজশাহী (৩৬.৮), ঈশ্বরদী (৩৭.২), খুলনা (৩৭.২), মংলা (৩৭), সাতক্ষীরা (৩৬.২), যশোর (৩৭.২), চুয়াডাঙ্গা (৩৬.৫), কুমারখালী (৩৭), বরিশাল (৩৬.৫), পটুয়াখালী (৩৭.৪), বরিশাল (৩৬.৫), খেপুপাড়া (৩৮), ভোলা (৩৬.৯)।