প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশুরা মন দিয়ে লেখাপড়া করো। তোমাদের ভবিষ্যৎ আমরা গড়ে দেব। বঙ্গবন্ধু শিশুদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার বাস্তবায়ন করবো।”
বুধবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
অভিভাবক, শিক্ষক এবং সমাজের বিশিষ্টজনদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শিশুদের ওপর কোনো অত্যাচার, নির্যাতন যেনো না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের প্রতি এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক কাজ যেনো না হয়, সে ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের হাত থেকে শিশুদের মুক্ত রাখতে হবে।”
শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “করোনার কারণে আজ স্কুল বন্ধ। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। এটা অত্যন্ত কষ্টের। তারপরও আমি বলবো, তোমরা ছোট্ট সোনামনিরা ঘরে বসে পড়াশুনা করো এবং সেই সাথে খেলাধুলাও করো। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা এগুলো একান্তভাবে অপরিহার্য। কারণ তোমরাই তো ভবিষ্যৎ, তোমরাই তো এই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
শেখ হাসিনা আরো বলেন, “আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশুদের জন্য যা যা করা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার সেটা করে যাচ্ছে। তাদের জন্য আমরা বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি, বৃত্তি এবং উপবৃত্তি দিচ্ছি, মায়ের নামে মোবাইল ফোনে আমরা বৃত্তির টাকা পৌঁছে দিচ্ছি।
শিশুদের যাতায়াতের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা প্রতিটি এলাকায় প্রাথমিক স্কুল তৈরি করে দিয়েছি এবং দিচ্ছি যাতে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে, পড়াশুনাটা করতে পারে।”