আবারও রক্তাক্ত মিয়ানমার। দেশটিতে চরমে উঠেছে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ। এক দিনেই এক পুলিশ সদস্যসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৮ জন। বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানায়, রোববার ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ওই ঘটনায় ২২ জন নিহত হন। পাশাপাশি মান্দালয়, বাগোসহ অন্যান্য শহরেও সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশ সদস্যসহ ১৬ বিক্ষোভকারী।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা পশ্চিম ইয়াঙ্গুনে চীনা বিনিয়োগে পরিচালিত দুটি পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানেও বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে আগুনের দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।
অন্যদিকে আগুনের ঘটনায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় মিয়ানমারের চীনা দূতাবাস।
জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া থিনজার মং এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, “মাত্র দুটি কারখানা পোড়ানো হয়েছে। মিয়ানমারে শান্তিমতো ব্যবসা করতে মিয়ানমারের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। লড়াকু হ্লাইংথায়ার জন্য আমরা গর্বিত!”
ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান এই আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
সেনাশাসনের সপ্তম সপ্তাহে একদিকে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক নেতাদের ডাকে জোরদার হচ্ছে আন্দোলন। অন্যদিকে বিক্ষোভ দমনে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর গ্রেপ্তার হন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও তার দলের নেতারা। তবে এ সময় কয়েকজন নেতা-কর্মী পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেন। মাহন উইন খিয়াং থান নামের এক নেতা শনিবার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সমর্থকদের লড়াইয়ে নামার ডাক দেন।