ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে ইরান বলেছে, নৈতিক কারণে ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার অধিকার কুদস দখলদার ইসরায়েলের নেই।
জাতিসংঘের ইউরোপীয় দফতরে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি ইসমাইল বাকায়ি হামানে তার দেশের বিরুদ্ধে তেল আবিবের এক ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি শুক্রবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৬তম অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েলকে কটাক্ষ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত ৩৩৭৯ নম্বর প্রস্তাবে ইসরায়েলের চরিত্র ‘সর্বোত্তমভাবে’ তুলে ধরা হয়েছে।
জাতিসংঘের ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলকে একটি ‘বর্ণবাদী সরকার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকায়ি হামানে বলেন, দুঃখজনকভাবে বিশ্বের কিছু শক্তি উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরতে গিয়ে ওইসব দেশের বৈধ শাসনব্যবস্থাকে আক্রমণ করে কথা বলে।
তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু দেশ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য কোনও দেশের ওপর চাপিয়ে দেয়ার অধিকার রাখে না। বিশ্বের স্বাধীনচেতা প্রতিটি দেশ তার শাসন ও বিচার ব্যবস্থা, আইন-আদালত ও অর্থনীতি নিজস্ব আদর্শ অনুযায়ী পরিচালনা করার অধিকার রাখে।
ইরানের এই কূটনীতিক বলেন, দুঃখজনকভাবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া ও সুইডেনের মতো দেশগুলো নিজেদেরকে মানবাধিকার রক্ষার উন্নত আদর্শ মনে করে। তারা ভাবে, দেশের ভেতরে ও বাইরে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে বিশ্ববাসী ওয়াকিবহাল নয়।
হামানে বলেন, এসব পশ্চিমা দেশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের আগ্রাসী দেশগুলোর কাছে মারণাস্ত্র বিক্রি করার মাধ্যমে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের রক্ত ঝরাতে ভূমিকা রাখছে; অথচ তারাই আবার মানবাধিকারের ধ্বজাধারী সেজেছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের একজন মন্ত্রী ইরানের বিচার বিভাগ পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এদেশের শাসনব্যবস্থাকে মারাত্মক প্রশ্নবিদ্ধ করে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে এই পরিষদের কিছু সদস্য দেশ ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে।