অভিনেতা,নাট্যকার,পরিচালক-এই তিন জায়গাতেই সফল কচি খন্দকার। তবে নিজেকে নির্মাতা হিসেবেই তিনি পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। মঞ্চেও আছে তার দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা। ১৯৭৯ সালে তিনি মঞ্চনাটক লেখা ও নির্দেশনা শুরু করেন। তার থিয়েটারের নাম ছিল অনন্যা নাট্যদল। নাটকের বর্তমান অবস্থা কেমন দেখছেন? জানতে চাইলে কচি খন্দকার বলেন, অবস্থা ভালো না। দুরাবস্থা। c
নাটকের এই দুরাবস্থার প্রধান কারণ কী বলে আপনার কাছে মনে হয়? উত্তরে তিনি বলেন, নাটকের এই অধঃপতনের জন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলোই দায়ী। তারাই চেয়েছে নাটকের অধঃপতন হোক। নির্ধারণ করেনি যে ভালো কিছু করবে। তারা নিজ দায়িত্বে নাটক ধ্বংস করছে। আমার রুচি কী, আমি কী দেখাবো না দেখাবো সেটা আমার ব্যাপার। দর্শকের রুচি তৈরি করার দায়িত্ব চ্যানেলের।
কোন নির্মাতা নাটক বানাবে সেটা বাছাই করবে টেলিভিশন চ্যানেল। তাই নাটকের এই দুরাবস্থার জন্য আমি কাউকে দোষ দিব না। পুরো দোষটাই চ্যানেলের বলে আমার মনে হয়। এসব কারণেই কি আপনাকে নাটক নির্মাণ কিংবা অভিনয়ে কম পাওয়া যাচ্ছে? কচি খন্দকার বলেন, হ্যাঁ। এসব কারণেই নাটকে কম জোর দিচ্ছি। এখন থেকে নাটক কম বানাবো। সিনেমা বানাবো। সব ঠিকঠাক। পর পর তিনটা সিনেমা বানাবো।
সিনেমাগুলোর নামও ঠিক করে ফেলেছি। ‘লাল পুকুর’, ‘খসরু মাইনাস ময়না’ ও ‘মাই ডিয়ার ফুটবল’ নামের এই সিনেমাগুলোতে শিল্পী হিসেবে মোশাররফ করিম, মারজুক রাসেল, সিয়াম কাজ করবেন। এছাড়া আরও শিল্পী আছে। এদিকে, সবশেষ কিছুদিন আগে এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হওয়া চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টর গিল্ডস’র নির্বাচন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কচি খন্দকার।
তিনি বলেন, শিল্পীদের কোনো নির্বাচন থাকা উচিত না। ভোট মানেই পলিটিক্স। ভোট মানেই কূটনীতি। শিল্পীদের মধ্যে আবার কিসের নির্বাচন! বর্তমানে ‘হাউজ ৯৬’ শিরোনামের ধারাবাহিক নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন কচি খন্দকার।