অভ্যুত্থানের পর টালমাটাল মিয়ানমার। মাত্র কয়েকদিনে সেখানে একে একে কমপক্ষে ৫২ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্বজন হারানোর বেদনায় প্রতিদিনই সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রানার বার্জেনার অবিলম্বে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বিচারে সামরিক জান্তার গুলিতে মানুষ হত্যার কারণে বিশ্বজুড়ে নিন্দা জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে তাকে ও তার প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের বন্দি করে রেখেছে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। অভ্যুত্থান ও গ্রেপ্তারকৃত নেতানেত্রীদের মুক্তির দাবিতে সেই ১লা ফেব্রুয়ারির পর থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
আজ শনিবার দক্ষিণের শহর দাউয়ি শহরে বিক্ষোভ করছেন বেশ কিছু বিক্ষোভকারী। তারা স্লোগান দিচ্ছেন, আমরা চাই গণতন্ত্র। বিপ্লবের ফল অবশ্যই আসবে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা সমবেত হচ্ছিলেন সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে। তবে এরই মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন লাখো মানুষ।
এক বিক্ষুব্ধ নেতা আই থিনজার মুয়াং ফেসবুকে লিখেছেন, রাজনৈতিক আশার আলো ঝলকানি দিচ্ছে। বিপ্লবের এই পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতিকে আমরা হারাতে পারি না। যারা লড়াই করার সাহস দেখাবে, বিজয়ী হবে তারা। আমরা বিজয়ের দাবিদার।