এক ওভারের ছয় বলে টানা ছয়টি ছক্কা মারার রেকর্ড নতুন নয়। এর আগেও হয়েছে। হার্শেল গিবস এবং যুবরাজ সিং এই রেকর্ড আগেও গড়েছেন। সে তালিকায় তৃতীয় ব্যক্তি হলেন কাইরন পোলার্ড।
কিন্তু শ্রীলঙ্কান স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়ার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি যেমন আনন্দের, তেমন বেদনারও। হঠাৎ করেই বল ঘূরিয়ে এভিন লুইস, ক্রিস গেইল এবং নিকোলাস পুরানের মত ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে করে ফেলেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক।
কিন্তু পরের ওভারেই পোলার্ডের হাতে টানা ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হজম করলেন। সেখানে থামলেও কথা ছিল। টানা সাত বলে সাত ছক্কা হজম করা প্রথম বোলার হয়ে গেলেন আকিলা ধনঞ্জয়া।পোলার্ডের কাছে ছয় ছক্কা হজম করার পরের ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেন জেসন হোল্ডারের ব্যাট থেকে। টানা ৭ বলে ৪২ রান দেয়া বোলার ইতিহাসে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
টি-টোয়েন্টিতে টানা ছয় বলে ছয়টি ছক্কার রেকর্ড প্রথম গড়েছিলেন যুবরাজ সিং। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংলিশ বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছয়টি ছক্কার মার মারেন তিনি। সেবার ব্রডের ১৯তম ওভারে পরপর ছয়টি ছক্কা মেরে ১২ বলে করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি।
তবে যুবরাজের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার আগে এক ওভারে টানা ছয়টি ছক্কা মারার কৃতিত্ব গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে (ওয়ানডে) নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এক ওভার ছয় ছক্কার রেকর্ড গড়েছিলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ড গড়েন পোলার্ড।
ক্যারিবিয়ান পোলার্ডের ঝড়ে উড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১১ বলে ৩৮ রান করে আউট হন তিনি। দলকে জয় এনে দেওয়ার জন্য এই ইনিংসই ছিল যথেষ্ট। প্রথমে ব্যাট করে ১৩১ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। রান তাড়া করতে নেমে ১৩.১ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ উইকেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা।
ধনঞ্জয়ার তৃতীয় ওভারে ৩৬ রান নেন পোলার্ড। এর আগের ওভারেই হ্যাটট্রিক করেন ধনঞ্জয়। এভিন লুইস, ক্রিস গেল এবং নিকোলাস পুরানকে পরপর তিন বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন লঙ্কান স্পিনার। সেই আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি পোলার্ড, এরপর হোল্ডার। ৪ ওভারে ধনঞ্জয়া দিয়েছিলেন মোট ৬২ রান।