ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১০ মাস কারাগারে কাটানোর পর অবশেষে মুক্তি পেলেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। আজ বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) বেলা সোয়া ১২টার দিকে কাশিমপুর কারাগার (পার্ট-২) থেকে কিশোরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মুক্তি পাওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি একটি সাদা রঙের গাড়িতে চড়ে কারাগার এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমের কারো সঙ্গে কথা বলেননি।
কিশোরকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিমপুর কারাগার-২-এর জেল সুপার আবদুল জলিল জানান, আহমেদ কবির কিশোরের জামিনের কাগজ বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে কিশোরকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় কারাফটকে কিশোরের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কিশোরের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
গত বছরের ৬ মে রমনা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং পাঁচ-ছয়জনকে অচেনা আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করে র্যাব-৩। মামলায় বলা হয়, ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ ফেসবুক পেইজ থেকে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করা বা বিভ্রান্তি ছড়ানো বা এ উদ্দেশ্যে জেনেশুনে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন, কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও মুশতাক আহমেদ।
সায়ের জুলকারনাইন সম্প্রতি আলজাজিরায় প্রচারিত তথ্যচিত্র ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’-এর ‘সামি’ বলে জানা গেছে। গত বছরের মে মাসে কিশোর, মুশতাক ও দিদারুলকে লালমাটিয়া ও কাকরাইলের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। এর মধ্যে কারাবন্দি মুশতাক গত বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। দিদারুল জামিনে ও কিশোর কারাগারে।