নতুন করে আরও চার কোটি ডোজ টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার (৩ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে গত দুই মাসে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুল মান্নান বলেছেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অতিরিক্ত এই চার কোটি ডোজ কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বেক্সিমকোর মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তারা আমাদেরকে এখন যে ২০ লক্ষ ডোজ টিকা দিয়েছে। আর ৩০ লক্ষ ডোজ এ মাসেই দেবে। এ মাসেই আরও ৫০ লক্ষ ডোজ দেয়ার কথা আছে। আমরা আরও চার কোটি ডোজ টিকা একইভাবে চুক্তির মাধ্যমে ক্রয় করে নিয়ে আসবো। নতুন চার কোটি ডোজ কেনার জন্য আমরা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন তিন কোটি ডোজ সিরাম থেকে পাচ্ছি। আরও অতিরিক্ত সাড়ে তিন কোটি বা চার কোটি ডোজ সিরাম থেকেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আমরা কিনে আনবো। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশে এখন করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার বয়সসীমা ৪০ বছর। এই বয়সসীমার মধ্যেই প্রায় চার কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলে থাকা শিক্ষকদের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি ঔষধ কোম্পানি বেক্সিমকোর মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে
অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ আনছে। তাতে একজনের দুই ডোজ করে দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে।এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্সের এক কোটি নয় লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পাবে- যা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে বলা হচ্ছে।
আগের চুক্তি অনুযায়ী সিরাম ইনস্টিটিউট তিন কোটি ডোজের মধ্যে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে সরবারাহ করার কথাছিল। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ দিলেও পরের মাসে তারা ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে।