চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ঘরোয়া লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হেরে গেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। রবিবার তারা মোনাকোর কাছে ২-০ গোলে হেরে যাওয়ায় তাদের লিগ শিরোপা জেতার আশা কিছুটা হলেও ¤্রয়িমান হয়ে গেছে। কারণ এতদিন শীর্ষে থাকা পিএসজিকে তৃতীয় স্থানে নামিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে লিলি।
সোফিয়ান ডিওপ এবং গুইলারমো মারিপান মোনাকোর পক্ষে একটি করে গোল করেন। এ ম্যাচ জিতে মোনাকো উঠেছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে। তারা পিএসজির চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্টে পিছিয়ে আছে। এমবাপ্পে ২০১৭ সালে মোনাকো থেকেই পিএসজিতে যোগ দেন। রবিবার তিনি তার সাবেক দলের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
মোনাকোর মূল লক্ষ্য আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা। তারা এখন পর্যন্ত নিজেদের লক্ষ্যে ঠিক মতোই এগিয়ে যাচ্ছে। লিওনের চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে পিএসজি। তারা লিলির চেয়ে চার পয়েন্টে পিছিয়ে আছে।
পিএসজি সপ্তাহর মাঝখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল নেইমারকে ছাড়াই। সে ম্যাচে এমবাপ্পে করেন হ্যাটট্রিক। কিন্তু এ ম্যাচে বলতে গেলে তারা ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। ম্যাচ শেষে তা স্বীকার করেছেন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ জেতার জন্য আমাদের যেভাবে খেলার দরকার ছিল আমরা তা পারিনি। খেলায় মনযোগ ধরে রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা কথা বলেছি।
কিন্তু আমরা মাঠে তার প্রমাণ দিতে পারিনি। আগের ম্যাচের পারফরমেন্সের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা।’ এম্যাচে পরাজিত হওয়ায় ২০১৭ সালের পর এই প্রথম পিএসজির লিগ শিরোপা জেতার আশা কমে যাচ্ছে। এমবাপ্পে মোনাকোর হয়ে ৫ বছর আগে ১৭ বছর বয়সে লিগে গোল করে সবার নজর কেড়েছিলেন। সেই মোনাকোর রক্ষণভাগ এদিন খুব ভালভাবে এমবাপ্পেকে অকার্যকর করে রাখতে সক্ষম হয়।
ইনজুরি আক্রান্ত নেইমার এ ম্যাচেও খেলতে পারেননি। মোনাকো ম্যাচের ছয় মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায়। কেভিন ভোল্যান্ডের ক্রস থেকে ডিওপ হেডে গোলটি করেন। পিএসজি প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষে পোস্টে একটি শটও নিতে পারেনি। বিরতির পর সফরকারীরা আরও বেশী উজ্জীবিত হয়ে খেলা শুরু করে এবং ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে। অ্যান্ডোর হেরেরা গোলটি করেন।
এমবাপ্পে এর আগে মোনাকোর বিপক্ষে সাত ম্যাচ খেলে সাতটি গোল করেছিলেন। কিন্তু এদিন তিনি কিছ্ ুকরতে পারেননি। চলতি মৌসুমে নিজেদের মাঠে এ নিয়ে তৃতীয়বার পরাজিত হলো পিএসজি। আর আগে তারা হেরেছিল মার্শেই এবং লিওনের সাথে। মোনাকোর কোচ নিকো কোভাচ বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছিলাম কাইলিয়াম এমবাপ্পেকে অকার্যকর করে রাখতে হবে। কারণ সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড়।
খেলোয়াড়রা সে কাজটি ঠিক মতো করতে পেরেছে। এমবাপ্পেকে গোল করার কোন সুযোগই দেয়নি।’