ইরাকে ১৩ তুর্কি নাগরিককে হত্যা আঙ্কারায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব

ইরাকে ১৩ তুর্কি নাগরিককে হত্যা আঙ্কারায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব

আন্তর্জাতিক

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দি গেরিলা গোষ্ঠী পিকেকের হাতে ১৩ তুর্কি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ওই ১৩ জনের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নীতি-অবস্থানের বিরুদ্ধে ‘কঠোর প্রতিবাদ’ জানানো হয়েছে। পিকেকের হাতে নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগ তুরস্কের সেনাবাহিনী বা পুলিশ বাহিনীর সদস্য।

তুরস্ক বলছে, পিকেকে গেরিলারা যে ১৩ তুর্কি নাগরিককে অপহরণ করেছিল ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সেনাবাহিনী তাদের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর তাদেরকে হত্যা করা হয়। এদের ১২ জনকে মাথায় গুলি করে এবং একজনকে কাঁধে গুলি করে হত্যা করে পিকেকে বিদ্রোহীরা।

কিন্তু পিকেকে দাবি করছে, উত্তর ইরাকে অবস্থিত তাদের অবস্থানে তুর্কি সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ওই ১৩ জন নিহত হয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পিকেকের হাতে তুর্কি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের খবর সত্যি হয়ে থাকলে আমরা এ কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘শর্তযুক্ত’ নিন্দা ‘উপহাস’ ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি আরও বলেন, মার্কিন সরকার পিকেকে এবং ওয়াইপিজির মতো ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে এসব গোষ্ঠীকে সমর্থন করছে।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুও ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের’ দাবিদার দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেছেন, এসব দেশ ‘কিন্তু, যদি’ ইত্যাদি পরিভাষা ব্যবহার করে বিষয়টিকে গুরুত্বহীন করে ফেলছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের সেনাবাহিনী ইরাকের অভ্যন্তরে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *