সু চির মুক্তি দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সু চির মুক্তি দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক

নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী।

সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে রোববার নবম দিনের মতো ব্যাপক বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির শিক্ষার্থীরা।

দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ গণতান্ত্রিক নেতাদের মুক্তি দাবিতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে মিছিল করছেন। তারা সাদা পোশাক পরে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। রাজধানী নেপিদোতে মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ওয়াকি-টকি আমদানির অভিযোগে সু চিকে বন্দি রাখার মেয়াদ সোমবার শেষ হবে। এর পরে কী হবে তা জানতে তার আইনজীবী খিন মাং জাওয়ের সঙ্গে যোগোযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৪৪ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। রাজনৈতিক বন্দিদের সহায়তাকারী সংস্থা দ্য অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে অধিকাংশদেরই রাতের আঁধারে আটক করা হয়েছে।

ইয়াঙ্গুনের বহু বিক্ষোভকারী কর্তৃপক্ষকে ‘রাতে মানুষকে অপহরণ বন্ধ’ করার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির জান্তা সরকার হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেয়ার পরে শনিবার গভীর রাতে ইয়াঙ্গুন ও দ্বিতীয় বড় শহর মান্ডলের রাস্তায় টহল দেয়ার জন্য বাসিন্দারা একত্রিত হন।

বাসিন্দারা ভয়ে আছেন, তাদের যে কোনো সময় আটক করা হতে পারে। এজন্য বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অপিরিচিত কোনো ব্যক্তিকে দেখলে বাসনপত্র বাজিয়ে সতর্ক করার জন্য বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *