জিনজিয়াংয়ের ভয়াবহতা বোঝাতে গণহত্যাও যথার্থ শব্দ নয়: ইকোনমিস্ট

জিনজিয়াংয়ের ভয়াবহতা বোঝাতে গণহত্যাও যথার্থ শব্দ নয়: ইকোনমিস্ট

আন্তর্জাতিক

গণতন্ত্র ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণতন্ত্রকে স্পষ্ট সত্য বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বৈরশাসন প্রকৃত রূপ আড়াল করতে সবসময় মিথ্যা বলবে এবং আপত্তি জানাবে। উইঘুরদের ওপর চীনের অত্যাচারকে কী বলা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এ বিষয়টা মনে রাখতে হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নিজের শেষ কর্মদিবসে একে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। যদিও জো বাইডেন চলতি সপ্তাহে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম আলোচনায় শব্দটি ব্যবহার করেননি, তবে তার প্রশাসন বারবার করেছে।

দি ইকোনমিস্টের রিপোর্টে বলা হয়, চীনে উইঘুরদের ওপর অত্যাচার প্রচণ্ড ভয়াবহ। তারা সম্ভবত ১০ লাখ মানুষকে কারাবন্দি করে রেখেছে, যাকে ভুলভাবে ‘পেশাগত প্রশিক্ষণকেন্দ্র’ উল্লেখ করা হচ্ছে। তারা উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করছে। তবে তাদের হত্যা করছে না।

সংজ্ঞা মূলত জাতিসংঘের একটি ঘোষণার ওপর নির্ভর করে, যাতে বলা হয়েছে, এটি করার জন্য প্রকৃতপক্ষে সরাসরি প্রাণ সংহারের প্রয়োজন নেই। কোনো জাতি, নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে চাইলে ‘জন্ম প্রতিরোধের চেষ্টা’ যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে। তবে এটি কত বড় পরিসরে হলে গণহত্যা ধরা হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, সব নারীকে পদ্ধতিগতভাবে বন্ধ্যা করার মাধ্যমে একটি গোটা জাতি ধ্বংসের কল্পনা করা সম্ভব।

পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘গণহত্যা’ লেবেলটি শুধু বিপুলসংখ্যক মানুষ হত্যার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে এবং এর মধ্যেও প্রায়ই তাদের দ্বিধায় ভুগতে দেখা গেছে। দেশটি রুয়ান্ডার গণহত্যাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেনি, যতক্ষণ না সেটি সমাপ্ত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *