ইতালির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মারিও দ্রাঘির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। দ্রাঘি ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রধান ছিলেন।
গত মাসেই গিসেপে কন্তের সরকারের পতন ঘটে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই গিসেপে কন্তে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাড়ান। গত ১৩ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি তার ইটালিয়া ভিভা পার্টিকে দল থেকে প্রত্যাহারের পর থেকেই ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে পড়ে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। সংবিধান সংস্কারের পরিকল্পনা করেছিলেন রেনজি। ওই পরিকল্পনার ওপর গণভোটে শোচনীয় পরাজয় দেখে আকস্মিক পদত্যাগ করেন তিনি। মাত্র আড়াই বছর ক্ষমতায় থাকার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন রেনজি।
করোনার কারণে শুরু থেকেই ইতালিতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এক বছরের বেশি সময় আগে চীনে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর পরই ইতালিতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর থেকেই ইতালি যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত তহবিল কিভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে দেশটিতে বেশ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির অর্থনীতি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায় এবং ব্যাংক অব ইতালির গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা দ্রাঘির হাতে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি বলেন, ‘মারিও দ্রাঘি এমন একজন ইতালীয় নাগরিক যিনি ইউরোপকে বাঁচিয়েছেন। আমি মনে করি এখন তিনি এমন একজন ইউরোপীয় যিনি ইতালিকে বাঁচাতে পারবেন।’