বিন্তু চরিত্রে সাবিলা নূর

বিন্তু চরিত্রে সাবিলা নূর

বিনোদন

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এ সময়ের ব্যস্ত মডেল-অভিনেত্রী সাবিলা নূর। ক্যারিয়ারে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সংযোজন। প্রতিটি নাটকই গল্পের চরিত্রকে এমন সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলায় বেশ পটু হয়ে উঠেছেন সাবিলা। এটিই তো একজন অভিনয়শিল্পীর সার্থকতা। সেই হিসেবে সাবিলা নূর খুব অল্প সময়েই সার্থক।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘শার্লক হোমস ইন লাভ’। নিজের গল্পে নাটকটি পরিচালনা করেছেন মুরসালিন শুভ। তার সঙ্গে চিত্রনাট্য করেছেন মুহাম্মদ আবু রাজিন। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তাহসান খান ও সাবিলা নূর।

নাটকটিতে  দেখা যায়, গল্পের বিন্তু চরিত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি শার্লক হোমস, সুপারম্যান কিংবা স্পাইডারম্যানের মতো কোনো কিছুই যে পৃথিবীতে নেই তা বিশ্বাসই করেন না। একদিন বিন্তুর বাসার গৃহকর্মী নিখোঁজ হয়ে যায়। তাকে তিনি দাদির মতো ভালোবাসেন।

তাই এমন নিখোঁজ সংবাদে ভীষণ মন খারাপ হয়েছে তার। কোথাও খুঁজে না পেয়ে তিনি গৃহকর্মীকে খুঁজতে প্ল্যানচ্যাট করেন এবং শার্লক হোমসকে ডেকে এনে খোঁজার দায়িত্ব দেন! গৃহকর্মীকে খোঁজা শুরু করেন শার্লক হোমস! এরপর গল্প মোড় নেয় ভিন্নদিকে।

নাটকটিতে বিন্তুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। শার্লক হোমসরূপে দেখা যাবে তাহসান খানকে। সাবিলা নূর অভিনয় করছেন কখনো শহুরে দস্যি মেয়ে, কখনো বোকা কিংবা ভূতের অবয়বে। এভাবেই চলছে সাবিলা নূরের শুটিং ব্যস্ততা। এক কথায় দম ফেলার ফুরসত নেই তার। ফাঁকে ফাঁকে করছেন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের কাজও।

বিয়ের পর আরো পরিণত হয়েছেন তিনি। নাটকের গল্প নির্বাচন ও বৈচিত্র্যময় চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করছেন প্রতিনিয়ত। বর্তমান টিভি নাটকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, একঘেয়েমি। তবে এমন অভিযোগে খুব বেশি বিদ্ধ হতে হয়নি সাবিলা নূরের নাটকগুলোকে।

শুরু থেকেই নানামুখী চরিত্রে দর্শকের মননে জায়গা করে নিয়েছেন এ শোবিজ কন্যা। কদিন বাদেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে বেশ কয়েকটি নাটকে কাজ করছেন সাবিলা।

কয়েক বছর ধরেই ব্যতিক্রমী সব চরিত্রে কাজ করছেন সাবিলা। টিভি নাটকের পাশাপাশি করছেন টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের কাজও। দিনকে দিন সাবিলার নিত্যনতুন গল্পের প্রতি আগ্রহ আরো তীব্র হচ্ছে। পরিণত চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করা সাবিলার নেশা হয়ে গেছে। এক কথায় নতুন গল্প যেখানে, সাবিলা সেখানে।

সাবিলা নূরের কাছে অভিনয় বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সাবিলা বলেন, নাটক কোথায় প্রচারিত হচ্ছে এটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ব্যতিক্রমী কাজ করার চেষ্টা করি। একটা সময় সব নাটকই টিভিতে প্রচারিত হতো। পাশাপাশি আসে ইউটিউবের বিষয়টি। এখন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওয়েবভিত্তিক কন্টেন্ট নির্মাণ হচ্ছে।

নাটক প্রচারের আলাদা একটি জায়গা তৈরি হয়েছে, যা মোটেও নেতিবাচক নয়। এছাড়া টিভি নাটকের তুলনায় ওয়েব সিরিজের বাজেটের পরিমাণ বেশি থাকে। ‘ওয়েডিং বেল’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, আয়োজনের কোনো কমতি থাকে না সেখানে। পুরো সিরিজের কাজ হয়েছিল একটি বিয়ের বাড়িতে। ভালো লেগেছে।

দর্শকের ইতিবাচক সাড়া নতুনভাবে কাজ করতে উৎসাহ জোগায় বলে জানান এ অভিনেত্রী। ২০১৪ সাল থেকেই সাবিলা নূর নাট্যাঙ্গনে নিজের অভিনয়শৈলীর জ্যোতি ছড়িয়ে দর্শক হূদয়ে পাকাপোক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ‘ইউ টার্ন’, ‘মাঙ্কি বিজনেস’, ‘কল্পনার ঘর’, ‘কেমিস্ট্রি’, ‘টিন টিন’, ‘মাস্তি আনলিমিটেড’, ‘শত ডানার প্রজাপতি’, ‘চুপ’, ‘সনাতন কাব্য’, ‘বুলেটপ্রুফ ম্যারেজ’, ‘ক্রস কানেকশন’, ‘মিসফায়ার’, ‘জোনাকির আলো’, ‘খন্দকার সাহেব’, ‘ভালোবাসার ভূত ও ভবিষ্যৎ’, ‘থ্রি ফ্রেন্ডস’, ‘হেল মেট’, ‘এমএমএস’, ‘টুগেদার’, ‘ক্ষরণ’ ‘প্রতিশোধ’, ‘অপরাজিতা তুমি’, ‘জল কলঙ্ক’ ‘সাইরেন’, ‘লাভ অ্যান্ড কোম্পানি’, ‘সমাপ্তি’, ‘পাষাণ ইজ ব্যাক’, ‘যা কিছু ঘটে’, ‘মেঘ এনেছি ভেজা’, ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ ইত্যাদি। এছাড়া উপস্থাপনায়ও সাবিলা মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *