প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপি’র রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ধর্মের দোহাই ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপি’র রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ, তা দেশের মানুষ জানেন।’
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
বিএনপি বিপদে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনার তীর ছুঁড়ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা আওয়ামী লীগের গত সাত দশকের ঐতিহ্য। বিএনপি প্রো-অ্যাকটিভ নয়,তাদের রাজনীতি হচ্ছে রি-অ্যাকটিভ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা চারিদিকে শুধু ধ্বংস দেখতে পায়, তারা সরকারের কোন উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না। আসলে তাদের সৃষ্টিশীলতাকে গ্রাস করেছে দুর্ভেদ্য নেতিবাচকতা। কারণ বিএনপির দৃষ্টিশক্তিতে এখন শীতের ঘনকুয়াশা জমেছে।
বিএনপি’র রাজনীতি এখন কুয়াশাচ্ছন্ন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, তারা নিজেরাই শীতে কাতর। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে জুলুম আর লুটপাটতন্ত্র।
করোনা টিকা নিয়ে বিএনপি আবারো অপপ্রচার শুরু করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জনকল্যাণে নিবেদিত সরকারের যে কোনো প্রশংসনীয় উদ্যোগকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা তাদের অপরাজনীতির অংশ। তারা টিকা আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের কলের গান অবিরাম বাজিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশের জনগণকে বলতে চাই, বিএনপি নামক গুজব পার্টির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদান কাজ স্বচ্ছতা এবং সফলতার সাথে শেষ হবে।
পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, চতুর্থ ধাপের নির্বাচন সামনে। তাই আবারো স্মরণ করে দিতে চাই, যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহ করবে এবং জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহে উস্কানি দিবে তাদের ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কোন পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলন করতে গিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পকেট কমিটি কোনোভাবেই করা যাবে না, দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে সুযোগ করে দিতে হবে।
পরে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস