চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ‘অনুমেয় ও গঠনমূলক পথে’ এগিয়ে নিতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। মঙ্গলবার এই আহ্বান জানান চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনের পরিচালক ইয়াং জিয়েচি। রয়টার্স।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে অনলাইনে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছিল দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির ন্যাশনাল কমিটি। এই অনুষ্ঠানে ইয়াং আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।
বেইজিং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এমন একটি পথে এগিয়ে চায়, যে পথে ‘কোনো সংঘর্ষ, কোনো মুখোমুখি অবস্থান থাকবে না এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দুই পক্ষই লাভবান হবে’। এই ‘সহযোগিতা’ শব্দটি তিনি ২৪ বার উচ্চারণ করেছেন তাঁর বক্তব্যে।
চীনের এই শীর্ষ কূটনৈতিক আরও বলেন, চীনের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, যেমন হংকং ও তিব্বতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে বেইজিং–ওয়াশিংটন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বলা হচ্ছে, ১৯৭৯ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ট্রাম্পের। এর পেছনে রয়েছে হংকং, তাইওয়ান, শিনজিয়ান এবং বাণিজ্য ও প্রযুক্তি ইস্যু। এ প্রসঙ্গে ইয়াং বলেন, এই অঞ্চলগুলোসহ চীনের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
এ নিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে ইয়াংয়ের বরাতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক বছরে ট্রাম্পের প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে ভুল নীতি গ্রহণ করেছিল। ফলে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান কূটনৈতিক সম্পর্ক সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বাইডেন সেই ভুল নীতি গ্রহণ করবেন না। যদিও বাইডেনের উপদেষ্টারা ইতিমধ্যে ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করেই বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।