মোহামেদ সালাহ তার গোল খড়া কাটিয়ে উঠেছেন এবং লিভারপুল রবিবার প্রিমিয়ার লিগে দারুন খেলে ৩-১ গোলে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে পরাজিত করেছে। এছাড়া রবিবার হেরে গেছে টটেনহ্যাম হটস্পার। তারা ১-০ গোলে হেরে যায় ব্রাইটন হোভ এন্ড অ্যালবিয়নের কাছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে টটেনহ্যাম দ্বিতীয়বার পর পর দুই ম্যাচে পরাজিত হলো। আগের ম্যাচেই তারা হেরেছিল লিভারপুলের কাছে।
লিভারপুল গত ম্যাচ থেকেই দারুন খেলছিল। এ ম্যাচেও সে ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়। আগের ম্যাচে লিভারপুল জিতলেও গোল পাননি সালাহ। কিন্তু এ ম্যাচে তিনি সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে দারুন এক গোল করেন। কোচ ইয়োর্গেন ক্লপ তার গোলটিকে অসাধারণ বলে আখ্যায়িত করেন। সালাহ লিগে গত ছয় ম্যাচে গোল পাননি।
ডিসেম্বরের পর এ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তিনি প্রথম গোলের দেখা পান। ৫৭ মিনিটে প্রথম গোল করার পর ৬৮ মিনিটে সালাহ আরও একটি গোল করেন। এর ফলে সালাহ ১৯৮০ দশকের পর লিভারপুলের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা চার মৌসুম সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কমপক্ষে ২০টি করে গোল করলেন। ৮৪ মিনিটে জর্জিনিয়ো উইনালডাম করেন দলের তৃতীয় গোল।
এর পর অবশ্য ওয়েস্ট হ্যামের ডসন ৮৭ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু তাতে লিভারপুলের তৃতীয় স্থানে উঠতে কোন সমস্যা হয়নি। লিস্টার সিটি দিনের প্রথমভাগে লিডস ইউনাইটেডের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হওয়ায় লিভারপুলের তৃতীয় স্থানে ওঠার পথ সুগম হয়।
শীর্ষে অবস্থানরত ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে চার এবং দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানরত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে আছে লিভারপুল। ম্যানসিটি অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে। ম্যাচ শেষে কোচ ক্লপ তার দলের খেলোয়াড়দের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানান দল যখন জিততে পারছিল না তখন তারা সবাই নিজেদের উপরই ক্ষুব্ধ হচ্ছিল। জেতার জন্য সবাই ছিল মরিয়া। তার ফল হিসেবেই দুটি কঠিন ম্যাচে সহজেই জিতেছে লিভারপুল।
এদিকে বড় দল হিসেবে পরিচিত টটেনহ্যাম রবিবার হেরে গেছে। আগের ম্যাচে লিভারপুলের কাছে পরাজিত হওয়ার পর এ ম্যাচে তারা হারে ব্রাইটনের কাছে। ব্রাইটনের কোচ গ্রাহাম পোটার স্বীকার করেছেন দুই বছরের মধ্যে এটা ছিল তাদের সেরা পারফরমেন্স। এ জয় তাদেরকে রেলিগেশন জোন থেকে বেশ খানিকটা উপরে তুলে দিয়েছে।
লেনার্দো ট্রোসার্ড ১৭ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। বাকি সময়ে তারা দৃঢ়তার সাথে খেলে টটেনহ্যামের সব আক্রমন রুখে দেয়। জুন মাসের পর নিজেদের মাঠে ব্রাইটনের এটা ছিল প্রথম জয়। এ পরাজয়ের ফলে শীর্ষ চার থেকে ছয় পয়েন্টে পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকা টটেনহ্যাম কোচ হোসে মরিনিও জানিয়েছেন তার দলের খেলোয়াড়রা মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না।
যে কারণে তাদের খেলায় ছন্দ বা গতি কোনটাই ঠিক ছিলনা। হ্যারি কেইনের মতো খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি বাকিদের মনোবলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলেও তিনি মনে করেন।