রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে(ব্লক ২) দোকানের বৈধতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দায়ের করার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ দিন ধার্য করেন।
এ দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরকার, উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা দোকান বরাদ্দের কথা বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে মোট ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। বাদী এ লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তার প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন কিন্তু কোনও দলিলাদি দেননি।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৪/১০৯/১২০(খ)/৪০৬/৪১৭/৪৬৮/৪৭৭ (ক)/৫০৬ ধারায় অর্থ আত্মসাৎ এবং অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানের বৈধতা পেতে সাঈদ খোকন মেয়র থাকার সময় দোকানপ্রতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন তারা। অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও সে সময় দোকানের বৈধতা পাননি তারা।
তারা আরও জানান, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু প্রায় দুই যুগ ধরে ওই তিনটি প্লাজা বা মার্কেট এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তার নেতৃত্বেই অবৈধ এসব দোকান তৈরি করা হয়েছিল। সেই দেলু এবার দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন।