যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪০ বছর ধরে সম্পদ হিসেবে লালন-পালন করেছে রাশিয়া। আর শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প রাশিয়ার জন্য মহামূল্যবান সম্পদ প্রমাণিত হয়েছেন। রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির সাবেক মেজর ইউরি শ্বেটসের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে। ইউরি শ্বেটসকে ১৯৮০ সালে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত করে কেজিবি।
তিনি গার্ডিয়ানকে বলেন, ১৯৮০-এর দশকে ট্রাম্পকে সম্ভাব্য সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ক্রেগ উঙ্গার ‘আমেরিকান কমপ্রোমট’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেন। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্কের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এই বইয়ে কেজিবির গোয়েন্দা ইউরি শ্বেটসের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়েছে- ১৯৮০-এর দশকে ভবিষ্যত্ সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কিছু অজ্ঞ ব্যবসায়ীকে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় কেজিবি।
তখনই বেছে নেওয়া হয় ট্রাম্পকে। তিনি বলেন, ছাত্রাবস্থা থেকেই তাদের গড়ে তোলা হয় যাতে ভবিষ্যতে তারা ভালো অবস্থানে যেতে পারে। ট্রাম্পের সঙ্গে ঠিক এমনটি ঘটেছে।
বইতে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭৭ সালে চেক প্রজাতন্ত্রের মডেল ইভানা জেলনিকোভাকে বিয়ে করার সময় থেকে ট্রাম্পকে টার্গেট করে রাশিয়া। অহমিকা, আত্মপ্রীতির মতো বৈশিষ্ট্যের কারণে ট্রাম্প সহজ টার্গেটে পরিণত হন। এরপর গত ৪০ বছর রাশিয়ার অদৃশ্য ছায়াতলে বেড়ে উঠেছেন ট্রাম্প।
১৯৮৭ সালে ট্রাম্প রাশিয়া সফরকালে রুশ সরকারের সঙ্গে বড় বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করেন। শ্বেভটস বলেন, তখনই ট্রাম্পের ব্যাপক প্রশংসা করে কেজিবি এবং তার রাজনীতিতে প্রবেশ করা উচিত বলে পরামর্শ দেয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য জাপানকে আক্রমণ করেন। তার মতে, অন্য ধনী দেশকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় বন্ধ করা উচিত। যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন তখন এই যুক্তিই তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি হবে বলেও জানান তিনি।
যদিও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আনতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তদন্তে বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারকে নিয়োগ করা হয়। তবে তিনি ট্রাম্পের প্রচারণা টিমের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের কোনো প্রমাণ পাননি।