ইউরোপ বাদে সব দেশের জন্য রোববার থেকে ফ্রান্সের সীমান্ত বন্ধ

ইউরোপ বাদে সব দেশের জন্য রোববার থেকে ফ্রান্সের সীমান্ত বন্ধ

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সে করোনার তাণ্ডব আরো ভয়াবহ গতিতে বাড়ছে, বাড়ছে লাশের পরিসংখ্যান। সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হওয়ার আশঙ্কায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের অন্যসব দেশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে ফ্রান্স। যাতে করোনার সংক্রমণ হ্রাস পায়। গতকাল শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।

তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যেসব মানুষ ফ্রান্সে প্রবেশ করতে চাইছেন তাদের সবার পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) পরীক্ষায় রেজাল্ট নেগেটিভ থাকতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নিত্যদিনের যাত্রীরা।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্রান্সে ১২ ঘন্টার কারফিউ চলছে। তবে এরই মধ্যে অনেক স্থানে গোপনে পার্টি হচ্ছে। কোথাও খোলা রাখা হয়েছে রেস্তোরাঁ। এসব মানুষকে জবাবদিহিতায় আনতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ক্যাসটেক্স বলেছেন, তৃতীয় দফা লকডাউন এড়াতে তারা এসব ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা লকডাউনের ভয়াবহ ক্ষতিকর পরিণতি সম্পর্কে জানি। কয়েক দিনের যে ডাটা আমাদের হাতে এসেছে, তাতে এখনও আমরা আরেকটি লকডাউন থেকে রক্ষা পেতে ব্যবস্থা নিতে পারি। সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হবে।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের মহামারি বিষয়ক শীর্ষ বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ফেব্রুয়ারি নাগাদ ফ্রান্সে তৃতীয় দফা লকডাউন দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সম্প্রতি ফ্রান্সে সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু বেড়ে গেছে। দেশটির আইসিইউ বেডের শতকরা ৬০ ভাগ এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীতে পূর্ণ।

এ পর্যন্ত সেখানে করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭৫ হাজার মানুষ। এই ভাইরাসে মৃত্যুর দিক দিয়ে ফ্রান্স সারাবিশ্বে সপ্তম।ওদিকে ফাইজার এবং মডার্নার টিকা সরবরাহে জটিলতার কারণে ফ্রান্সে টিকাদান কর্মসূচি ধীর গতির করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এ পর্যন্ত সেখানে টিকা দেয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে।

 

সূত্র : অনলাইন স্কাই নিউজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *