মার্কিন সিনেটে বেশির ভাগ রিপাবলিকান ট্রাম্পের পক্ষে

মার্কিন সিনেটে বেশির ভাগ রিপাবলিকান ট্রাম্পের পক্ষে

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এখন তা পাঠানো হয়েছে সিনেটের কাছে। সিনেটে ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আগে মঙ্গলবার ভোটাভুটি হয়েছে। ভোট নেয়া হয়েছে ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল বাতিল করা হবে, না হবে না তা জানার জন্য।

সেখানে দেখা গেল, মাত্র পাঁচজন রিপাবলিকান সদস্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এই প্রস্তাব ৫৫-৪৫ ভোটে খারিজ হয়েছে। কিন্তু এই ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, সিনেটে এবারও ট্রাম্পকে ইমপিচ করা খুবই কঠিন কাজ। কারণ, মার্কিন সংবিধান অনুসারে উপস্থিত সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের ভোট পেলে তবেই সিনেটে প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা যাবে।

ফলে মূল প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির সময় রিপাবলিকান সদস্যরা মতবদল না করলে ট্রাম্পকে ইমপিচ করা যাবে না। এখন পর্যন্ত সিনেটে মাত্র পাঁচজন রিপাবলিকান ট্রাম্পকে ইমপিচ করার পক্ষে।সিনেটে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।

সিনেটে ইমপিচমেন্ট নিয়ে রিপাবলিকানরা যে প্রস্তাব এনেছিল, তা খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু রিপাবলিকানরা দাবি করছেন, এই হার আসলে তাদের জয়। কারণ, রিপাবলিকান পার্টি দেখিয়ে দিতে পেরেছে, তাদের বেশির ভাগ সদস্যই ট্রাম্পের পাশে আছেন। ফলে শেষ পর্ষন্ত ট্রাম্পকে ইমপিচ করা যাবে না।

সংবিধান অনুসারে, হাউস ও সিনেট দুই জায়গাতে প্রস্তাব পাস হলে তবেই ট্রাম্পকে ইমপিচ করা যাবে। সিনেটে তা উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে। রিপাবলিকানরা একজোট হয়ে থাকলে ট্রাম্পকেও ইমপিচমেন্টের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হবে না।

সিনেটে ট্রায়াল বন্ধ করার প্রস্তাব এনেছিলেন রিপাবলিকান সদস্য রান্ড পল। তিনি বলেছেন, ”এই হার আসলে জয়। আমাদের প্রস্তাবের পক্ষে ৪৫টি ভোট পড়া মানে ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল অর্থহীন হয়ে গেল।” পলের যুক্তি ছিল, ট্রাম্প এখন আর প্রেসিডেন্ট নেই। তাই এখন তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা যায় না বা তা নিয়ে বিতর্ক করা যায় না।

ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য পলের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ক্যাপিটল নিয়ে যে অপরাধ করেছেন, তার জন্য তাকে ইমপিচ করা যায়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *