চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের আট হাজার সদস্য মাঠে থাকছেন।মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে।
এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ৭৩৫ কেন্দ্রে। এর মধ্যে ৪২৯ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, যা মোট কেন্দ্রের ৫৮ শতাংশ।ইতোমধ্যে ২৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি মোতায়েন হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তত্ত্বাবধানে সোমবার বিকেল থেকে নগরীতে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। প্রতি প্লাটুনে ১৬ জন করে বিজিবি সদস্য রয়েছেন। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা নগরীতে দায়িত্ব পালন করবেন।
এবারের চসিক নির্বাচনে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ছয়জন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে একজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহিদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।
চসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৩৫টি। এর মধ্যে ৭৩৩টি স্থানীয় ও ২টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৪ হাজার ৮৮৬টি। ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।