বিস্ময় বালক জাপানি বংশোদ্ভূত রায়ান কাজি। মাত্র ৯ বছর বয়সের সে বিশ্বের সেরা ইউটিউবার। পিতামাতা, যমজ দুই বোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রায়ান এরই মধ্যে নিট ৫ কোটি ডলারের মালিক। ২০২০ সালেও তৃতীয় বছরের মতো ইউটিউব থেকে টানা সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী নির্বাচিত হয়েছে। তাকে এমন শীর্ষ স্থান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোরবস। কিভাবে সম্ভব হলো মাত্র ৯ বছর বয়সী একটি বালকের এত্ত বিশাল অর্থের মালিক হয়ে যাওয়া!
আরো কম বয়সে তার সফলতার গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে। ইউটিউবে তার চ্যানেলের নাম ‘রায়ান’স ওয়ার্ল্ড’। এখানে সে প্রথমে ভিডিও কন্টেন্ট আনবক্সিং করে তা আপলোড করা শুরু করে।
রায়ান কাজির বয়স ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছে সে। তবে তার এই সফলতার নেপথ্যে রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের কঠোর পরিশ্রম। তার চ্যানেল থেকে প্রতিদিন একটি করে ভিডিও আপলোড দেয়া হয়। এ জন্য তার পরিবার ৩০ জনের একটি টিম গঠন করেছে। এই টিমের নাম দেয়া হয়েছে সানলাইট এন্টারটেইনমেন্ট।
এটার ব্যবস্থাপনা করে তার পরিবার। এই টিম ভিডিও তৈরি এবং তা আপলোডে সহায়তা করে। রায়ানস ওয়ার্ল্ড এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত। এই চ্যানেলে আছে প্রায় ৫০০০ ভিডিও। সেখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ২০ কোটি ডলার রাজস্ব বা রয়েলটি আসে। এছাড়া রায়ান কাজির রয়েছে নিকেলোডিওন, হুলু এবং রোকু’র সঙ্গে রয়েছে চুক্তি। সব মিলিয়ে তার পরিবার কমপক্ষে ১০ কোটি ডলার আয় করেছে। আর তারা যে মিডিয়া সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে, তার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রায়ান কাজি আয় করেছে এক কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে রাজস্ব হিসেবে আয় করেছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। উইকিপেডিয়া জানাচ্ছে, রায়ানের এই চ্যানেল থেকে প্রতিদিন একটি করে নতুন ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এতে যেসব ভিডিও আছে তার মধ্যে অন্যতম ‘হিউজ এগস সারপ্রাইজ টয়েজ চ্যালেঞ্জ’।
এই ভিডিওটি ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভিউ হয়েছে ২০০ কোটি বারের বেশি। ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে এমন ৬০টি ভিডিওর একটি এই ভিডিও। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি যেসব ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব হয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম।
প্রযুক্তি বিষয়ক অনলাইন দ্য ভার্গি রায়ানের এই চ্যানেলটিকে ব্যক্তিগত ভেøাগে একাকার করে দিয়েছে। নিষ্পাপ শৈশবের এক বিরল সংমিশ্রণ বলে উল্লেখ করেছে তারা। রায়ানের এই চ্যানেলটি অন্যান্য ভাষায়ও চলমান। এর মধ্যে রয়েছে স্প্যানিশ ও জাপানিজ।