দেশে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকার প্রথম চালান আসবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন একটি দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার আবিষ্কৃত টিকার প্রথম চালান এ মাসেই আসবে। এই চালানে ৫০ লাখ টিকা আসতে পারে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে দেশে।’
টিকা আসার বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। সেরামের কাছ থেকে টিকা এনে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেবে বেক্সিমকো।
সম্প্রতি ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে এমন কিছু সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশের টিকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তবে বাংলাদেশ যথাসময়েই টিকা পাবে, এতে কোনো জটিলতা হবে না- এমন আশ্বাস দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। ভারতীয় কোম্পানির পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দেশে টিকা আসার পর তা প্রয়োগে আর কোনো বাধা নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজারের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের। এই টিকা বাংলাদেশ নেবে কি না তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।
তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের টিকা নিতে চাইলে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, কোভাক্সের চিঠি শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছে। চিঠি আসার বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ কোভাক্সের এই টিকা নেবে বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।