আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে হামলা ঘটনায় নিহত ৪

আন্তর্জাতিক
আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা  হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র বাউজার।
তিনি জানান, হাউজ রুমে অধিবেশন চলাকালে কয়েকজন জোরপূর্বক প্রবেশ করে। ওই দলটির সদস্য ছিলেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া নারী। দলটিকে সাদা পোশাকের কয়েকজন কর্মকর্তা বাধা দেন এবং অফিসারদের একজনের গুলিতে ওই নারী মারা যান।
যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে ক্যাপিটল ভবনে প্রবেশ করার পর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রথম নারী সাবেক মার্কিন সেনা সদস্য স্যান ডিয়েগোর বাসিন্দা অ্যাশলি ব্যাবিট। ওয়াশিংটন সময় দুপুর ৩টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বাউজার জানান নিহত হওয়া বাকি তিনজনের একজন নারী ও দুই জন পুরুষ। এছাড়া মেট্রো পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অন্তত ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ জানিয়েছে, ক্যাপিটল ভবনে সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে- যাদের মধ্যে ৪৭ জনকে কারফিউ ভাঙ্গার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার কংগ্রেস অধিবেশনের বিরোধিতা করে ওয়াশিংটনে জড়ো হন কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক। সেই সমাবেশে বক্তব্যে নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
সমাবেশের অল্প একটু দূরে গিয়ে কয়েকশ ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এক পর্যায়ে কংগ্রেসের অধিবেশন চলার মধ্যেই পুলিশের বাধা ভেঙে ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে ভবনের দরজা, জানালা ভাঙচুর করে ট্রাম্প সমর্থকরা।
এই ঘটনার পর ট্রাম্পকে বিতাড়িত করতে চান বলে জানিয়েছেন তার নিজের দল রিপাবলিকান সাংসদরা। এছাড়া এটিকে ইতিহাসের কালোদিন বলে আখ্যা দিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি আবারো দাবি করেন, জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল নির্বাচন চুরি করেছে। যদিও তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেন নি।
সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের বেদনা বুঝি, আমি জানি আপনারা কষ্ট পেয়েছেন। আপনাদের এখন বাড়ি ফিরতে হবে। আমাদের শান্তি দরকার, আমরা চাইনা কেউ আহত হোক।’
এদিকে জো বাইডেন বলেছেন, এই বিক্ষোভ ‘একটি বিদ্রোহের সমতুল্য এবং এখনই তার অবসান হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন ‘এই সময় আমাদের গণতন্ত্র এক নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে।’
দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ‘আমেরিকা বাঁচাও’ নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *