প্রতিরক্ষা বিলে ট্রাম্পের ভেটো অগ্রাহ্য করলো মার্কিন কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক

প্রতিরক্ষা ব্যয় বরাদ্দ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভেটো অগ্রাহ্য করেছে দেশটির কংগ্রেস। ট্রাম্পের শাসনামলে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন সিনেট নতুন বছরের প্রথম দিনে এক বিরল অধিবেশন আয়োজন করে ট্রাম্পের ভেটো অগ্রাহ্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে প্রতিনিধি পরিষদেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী বছরের জন্য প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪০ বিলিয়ন ডলার। দায়িত্ব ছাড়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ দূরে থাকা ট্রাম্প প্রস্তাবটির নির্দিষ্ট কিছু ধারাতে আপত্তি তুলেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

সামরিক বাজেট বিলের পরে এবার প্রতিরক্ষা বিলেও ভেটো দিয়েছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ মাসেই ৭৪০ বিলিয়ন ডলারের এই বিল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়েছে কংগ্রেসে। ট্রাম্প বলেছেন, এই বিলটি আসলে রাশিয়া ও চীনের জন্য একটি উপহার। এটি আইনে পরিণত হলে তা শুধু অন্যায়ই হবে না, বরং এটি হবে অসাংবিধানিক। যদিও সংবিধানের আলোকে নিজের এমন দাবির কোনও ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে ট্রাম্পকে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তার আগে একাধিক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিচ্ছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ শিবিরের বক্তব্য, সামরিক বিলে ভেটো না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতারা। কারণ, বিলটি কংগ্রেসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়েছিল।

নিয়ম হলো, কংগ্রেসে বিল পাস হওয়ার পরে তা প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। প্রেসিডেন্ট কোনও কারণে অনুমোদন না দিলে তা ফিরে আসে কংগ্রেসে। এরপর পার্লামেন্টের দুই কক্ষে বিলটি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়াই তা আইন হয়ে যায়। এই বিলটির ক্ষেত্রে তেমনটাই ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সিনেটররাও বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর আগে আটটি বিলে ট্রাম্প ভেটো দিয়েছিলেন। প্রতিটিই অবশ্য শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হয়েছে।

বিলটিতে আফগানিস্তান ও ইউরোপ থেকে সেনা সরানোর উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা ট্রাম্পের পছন্দ নয়। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয়ে ট্রাম্প আপত্তির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে একমত নন রিপাবলিকান সিনেটররাও। বরং অধিকাংশই মনে করছেন, সময়ের নিরিখে বিলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিলে সামরিক কর্মীদের তিন শতাংশ বেতন বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *