ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে অনুমোদন দিল

আন্তর্জাতিক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে। এখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদন পেলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে।

 

প্রায় ১০ মাস ধরে আলোচনার পর অবশেষে চুক্তির অনুমোদন দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের বৈঠকে চুক্তিটি লিখিত আকারে গ্রহণ করা হবে। তারপরই তা স্থায়ী হিসেবে গণ্য হবে। তবে আপাতত ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হয়ে যাবে।

ব্রেক্সিটের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের আদৌ কোনও বাণিজ্য চুক্তি হওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। এক সময় মনে হচ্ছিল, জট কাটবে না। বাণিজ্য চুক্তিও সফল হবে না। চুক্তি না হলে ইউরোপের দেশগুলো এবং যুক্তরাজ্য উভয় পক্ষই যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়তো।

সমস্যা ছিল চুক্তির খসড়া নিয়ে। সবারই আলাদা আলাদা দাবি ছিল। শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে চুক্তি চূড়ান্ত হয়। সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো বৈঠকে বসে। সেখানেই জোটের ২৭টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। নতুন চুক্তি নিয়ে তিনি আশাবাদী। ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন আগেই এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, এই চুক্তির ফলে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপিত হলো। দ্রুত চুক্তিটি স্থায়ী হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি দেশই এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। ফ্রান্স অবশ্য বলেছে, ফরাসি জেলেদের স্বার্থ সুরক্ষিত না হলে তারা ভেটো দেবে। বস্তুত, ১০ মাস ধরে চুক্তিটি নিয়ে আলোচনায় ফরাসি মৎস্যজীবীদের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক করেছে।

প্যারিস জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য জেলেদের মাছ ধরার বিষয়ে সমস্যা তৈরি করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। আশ্বাস যথাযথ না হলে তারা চুক্তিতে ভেটো দেবে। ফরাসি মৎস্যজীবীরাও চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। সূত্র: ডিডব্লিউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *