এই সময়ে শুটিং করতে চাচ্ছি না। কারণ অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। বরংচ করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এখন বাড়ছে। এই শীতে সারা বিশ্বেই করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছি আমরা করোনায়। তাই এখন আসলে কাজ করতে চাই না। অপেক্ষা করতে চাই। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু।
তিনি এখন বাসাতেই বেশিরভাগ সময় থাকছেন। বের হচ্ছেন খুব কম। শিমু বলেন, করোনার ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই শুটিং থেকে দূরে আছি। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার সার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
সুমাইয়া শিমু ১৯৯৯ সালে অরণ্য আনোয়ারের ‘এখানে আতর পাওয়া যায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে ছোটপর্দায় পা রাখেন। প্রথম নাটকেই বেশ প্রশংসিত হন তিনি। এরপর একের পর এক নাটকে অভিনয় করে গেছেন তিনি। বিভিন্ন খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটকে শিমুর অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। নাটকে কাজের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে সাধারণত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন? উত্তরে শিমু বলেন, নাটকের সংখ্যা বাড়ানোর হিসেব কখনও করিনি। ভালো কাজের দিকে মনোযোগী ছিলাম সব সময়।
যখন যে চরিত্রে কাজ করেছি সেটি শতভাগ দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। একজন শিল্পী তার ভালো কাজ দিয়েই দর্শকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেন। এটাই শিল্পীর লক্ষ্য হওয়া উচিৎ বলে মনে করি। এদিকে করোনা পরিস্থিতির আগে এই অভিনেত্রী ‘ঘোলা’ নামের একটি ওয়েব সিরিজের এক দিনের শুটিং করেন। এ বিষয়ে শিমু বলেন, ওয়েব সিরিজ এখন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে। তাই এ মাধ্যমে কাজ করার আগ্রহ ছিল। সেটি পূরণ হয়েছে এবার। এ সিরিজটি পরিচালনা করছেন তানিম পারভেজ।
তবে করোনার এই পরিস্থিতিতে এখন শুটিং করার সাহস পাচ্ছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজে ফিরবো। এই অভিনেত্রী টিভি নাটকের অবস্থা নিয়েও কথা বলেন। এখনও ভালো ভালো নাটক হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে এখন বাজেট সংকটের কারণে নাটকের চরিত্র কমে গেছে বলে মনে করেন শিমু। এই সময়ে দর্শক টেলিভিশনের বাইরে বিনোদনের নানা মাধ্যম পাচ্ছেন। এটিকে শিমু কিভাবে দেখছেন? এ অভিনেত্রী বলেন, নতুনকে গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে তাকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর বিনোদনের মাধ্যম বাড়ার পাশাপাশি কাজের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে অভিনয়ের বাইরে শিমু নিজের প্রতিষ্ঠিত নারী উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান ‘বেটার ফিউচার ফর উইমেন’ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। মূলত এ সংগঠনের বছরব্যাপী নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় কাটে তার।