পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ হাসেম আর নেই। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয় এ ব্যবসায়ীর।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে তার মৃত্যু হয় বলে তার ছেলে শওকত আজিজ রাসেল জানিয়েছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য হাসেমের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।গত ১১ ডিসেম্বর কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর হাসেমকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে তিনি ছিলেন লাইফ সাপোর্টে।
জানাজার বিষয়ে শওকত আজিজ রাসেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “কোভিড পরিস্থিতির কারণে আমরা জানাজার বিষয়ে বিশেষ কিছু বলছি না। উনাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।”ব্যবসায়ী হাসেম ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।পরে মুক্তি পেলেও তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
অর্ধ শতক আগে তামাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করা হাসেম গত পাঁচ দশকে তার বাণিজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন আবাসন, আমদানি-রপ্তানি, পার্টিকেল বোর্ড, ইস্পাত, প্লাস্টিক, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন খাতে।নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হাসেম এক সময় সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন। জনতা ইনসুরেন্স কোম্পানিও তিনি গড়ে তোলেন।
বাংলাদেশের বড় শিল্পগ্রুপগুলোর একটি পারটেক্স গ্রুপ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে পরিবর্তন আনেন হাসেম।এতে পারটেক্স গ্রুপ ও পারটেক্স স্টার গ্রুপ থেকে আলাদা করে প্রতিষ্ঠা করা হয় আম্বার গ্রুপ। এসব গ্রুপের অধীনে রয়েছে ৬০টির বেশি কোম্পানি, যেগুলোর দায়িত্ব ছেলেদের হাতে দেন তিনি। হাসেমের স্ত্রী সুলতানা হাসেম ও পুত্রবধূরাও এসব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে আছেন।
হাসেমের পাঁচ ছেলের মধ্যে সবার বড় আজিজ আল কায়সার টিটো পারটেক্স স্টার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় ছেলে আজিজ আল মাহমুদ মিঠু পারটেক্স স্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান।
পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির দেখভাল করছেন হাসেমের দুই ছেলে আজিজ আল মাসুদ ও আশফাক আজিজ রুবেল। শওকত আজিজ রাসেল দেখছেন আম্বার গ্রুপ। রাসেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্বে আছেন।