ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্রিটেন

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যে (ব্রিটেন) লাগামহীনভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (প্রজাতি) নিয়ে ইউরোপ জুড়ে চলছে চরম আতঙ্ক। নতুন এই বিপদ থেকে বাঁচতে তাই যুক্তরাজ্যকে ‘একঘরে’ করেছে একাধিক প্রতিবেশী দেশ। করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক এই ধরন শনাক্ত হওয়ার পর ইউরোপীয় প্রতিবেশীরা যুক্তরাজ্যের ভ্রমণকারীদের জন্য দরজা বন্ধ করা শুরু করেছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের পর ইতালিতেও নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে প্রতিবেশী ফ্রান্স স্থল এবং আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় বড়দিনের আয়োজনে খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্য। সংক্রমণ রোধে ফ্রান্স নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ায় হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে ফ্রান্স-ব্রিটেন সীমান্ত এলাকায়। এতে ব্রিটেনে খাদ্যাভাব দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুই দেশের সীমান্তে দেখা যাচ্ছে, কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে। ব্রিটেন থেকে কোনো গাড়ি ফ্রান্সে ঢুকতে পারছে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কড়া পাহারা বসানো হয়েছে ফরাসি সীমান্তে। সংক্রমণ রোধে ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা কাজ শুরু করলেও হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। অনেক দেশই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সাময়িক সময় যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আসন্ন বড়দিন নিয়ে ব্রিটেনবাসী যখন প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন, তখন প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত বন্ধে করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে বরিস সরকার। বিশেষ করে বড়দিনে খাদ্য সঙ্কটে পড়তে পারে ব্রিটেনবাসী এমন আভাস পেয়েই মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় জনসন। আশঙ্কা রয়েছে, কিছু আমদানীকৃত খাদ্যসামগ্রী দুই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দশ নম্বর হাউজ-এর এক মুখপাত্র বলছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বড়দিনে খাদ্য সংকট এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১১টা থেকে ফ্রান্স ৪৮ ঘণ্টার জন্য ব্রিটেনের সাথে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ব্রিটেনের ইংলিশ চ্যানেলের তীরবর্তী ডোভারের ফেরি ও টানেল দিয়ে পার হয়ে সকল গাড়ি ও ট্রাকের ফ্রান্সে ঢোকা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দু প্রান্তেই অসংখ্য গাড়ি ও ট্রাক আটকা পড়েছে।

জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক এবং কানাডা ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর নেতারা গতরাতে এক বৈঠকে ব্রিটেনের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নানা দিক নিয়ে আলোচনায় বসার কথা। ভারতও যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে শেয়ারবাজারে। তা ছাড়া ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দামেও পতন ঘটেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিজ্ঞানীরা গত শনিবার দেশটিতে করোনা ভাইরাসের একটি নতুন রূপ শনাক্তের কথা ঘোষণা করে এ ধরনটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন। এরপর রবিবার যুক্তরাজ্য থেকে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি।

সম্প্রতি ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ ইংল্যান্ডের কয়েকটি জায়গায় করোনা ভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেন পাওয়া গেছে। এটি আগের থেকেও বেশি গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড এবং লন্ডনে নতুন করে লকডাউনের ঘোষণাও করা হয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে এবার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশগুলোও।

রবিবার রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে আসা সবার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফ্রান্স। সড়ক, সমুদ্র, রেল ও আকাশপথে মালামাল বহন করে নিয়ে আসা লোকজনও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে বলে দেশটি জানিয়েছে। জার্মানি, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

আয়ারল্যান্ড জানিয়েছে, রবিবার মধ্যরাত থেকেই তারা প্রতিবেশী দেশটির ফ্লাইট এবং ফেরি চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রাথমিকভাবে ৪৮ ঘণ্টা এই বিধিনিষেধ জারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

বেলজিয়াম জানিয়েছে, তারা রবিবার মধ্যরাত থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা জনপ্রিয় ইউরোস্টার সার্ভিসসহ ট্রেন, ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্দ্রার দো কো টিভি চ্যানেল ভিআরটিতে বলেছেন, ‘পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা অন্তত ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আরো কোনো পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন কি না সেটি আমরা পরে দেখব।’

ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোবের্তো স্পেরানজা বলেছেন, ‘সম্প্রতি লন্ডনে আবিষ্কৃত কোভিডের ধরনটি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। আমাদের বিজ্ঞানীদেরও এটি পরীক্ষা করে দেখা দরকার। এর মধ্যে আমরা সবচেয়ে বিচক্ষণ পথটি বেছে নিয়েছি।’

যুক্তরাজ্য থেকে ছেড়ে আসা সব ধরনের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইতালি। এর পাশাপাশি গত ১৪ দিনের মধ্যে ব্রিটেন ঘুরে আসা সবার ইতালিতে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। রবিবার মধ্যরাত থেকে যুক্তরাজ্যের সব ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জার্মানির সরকার। জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েনস্ ইসপান সরকারি গণমাধ্যম এআরডিকে বলেছেন, ‘এটি (স্ট্রেন) এখনো জার্মানিতে পাওয়া যায়নি, তবে অবশ্যই ব্রিটেন থেকে আসা প্রতিবেদনগুলোকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’

নেদারল্যান্ডস রবিবার থেকে যুক্তরাজ্যের সব যাত্রীবাহী ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এটি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে। অস্ট্রিয়া সরকারও যুক্তরাজ্য থেকে ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। অন্যদিকে, স্পেনও ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সুইডেন জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য থেকে তাদের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, বুলগেরিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

ব্রিটেনে কঠোর বিধিনিষেধ: নতুন কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, লন্ডনসহ যেসব জায়গায় চার-স্তরের বিধিনিষেধ জারি রয়েছে তা না মানাটা পুরোপুরি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ হবে।

লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে কিছু সময়ের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে জানিয়ে রবিবার হ্যানকক বলেন, দ্রæত ছড়িয়ে পড়তে থাকা করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের কারণে সরকারকে বড়দিনে বিধিনিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে। বড়দিনের মাত্র দিন কয়েক আগেও লকডাউন বলবৎ রাখার জন্য ব্রিটিশ সরকার সমালোচনার শিকার হয়েছে। তবে হ্যানকক বলছেন, নতুন স্ট্রেনের কারণে কোভিড সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ার আলামত পেয়ে শনিবার দ্রুতই বিধিনিষেধ জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নতুন ভাইরাস সম্পর্কে ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা এখন যেখানে ?দাঁড়িয়ে আছি সেখান থেকে পরিস্থিতি অনেক বেশি খারাপ হতে পারে। আবার একদিক দিয়ে দেখতে গেলে, এখন আমাদের হাতে সত্যিই আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু জিনিসও আছে। আমাদের হাতে এখন টিকা আছে এবং আশা করি সেটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে।’

টিকা হাতে পাওয়ার পর যুক্তরাজ্য সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করতে চেয়েছিল। যাতে বড়দিনে জনগণ এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যেতে পারে। কিন্তু ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের কারণে এখন দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশেই নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

যদিও বড়দিনের আগে এই লকডাউনের ফলে ছুটির আনন্দ মাটি হওয়ায় ক্ষুব্ধ আমজনতা থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতারা। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় হ্যানককের ইস্তফা দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি চার্লস ওয়াকার।

ইংল্যান্ডে সংক্রমণের গতি বাড়ায় সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে। ইংল্যান্ডের নাগরিকদের স্কটল্যান্ডে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের মতোই ওয়েলসে ফের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

নিজের দলের অন্দরে সমালোচিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্রিটেনের বাসিন্দাদের ঘরবন্দি থাকার অনুরোধ করেছেন হ্যানকক। বড়দিনের আগে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড এবং লন্ডনে সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে ‘টিয়ার ফোর’ করা হয়েছে। যার অর্থ, ওই অঞ্চলে পুরোপুরি লকডাউন চলবে।

ব্রিটেনে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি কোভিড টিকাকরণ শুরু হলেও এখনো মাত্র ৩৫ হাজার বাসিন্দাকেই প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হ্যানকক জানিয়েছেন, সবার টিকাকরণ না হলে মাসের পর মাস লকডাউন চলতে পারে। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে কোনো সহজ পন্থা নেই। কোভিড নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ অগ্রাহ্য করলে বড় ভুল করা হবে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা সত্তে¡ও লকডাউন এড়ানোর জন্য লন্ডন বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং রাস্তাঘাটে ভিড় দেখা গেছে। বড়দিনের ছুটির আগে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় অনেকেই যে হতাশ, তা নিয়ে ওয়াকিবহাল প্রশাসন। রবিবার স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কম্যান্ডার অ্যালেক্স মারে বলেন, ‘আমি জানি ক্রিসমাসের সময়ে এভাবে ছুটি ভেস্তে যাওয়ায় লন্ডনবাসী হতাশ। তবে যে গতিতে ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তা গভীর উদ্বেগজনক। সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে এবং সংক্রমণের গতি কমাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। অ্যালেক্সের কথায়, ‘লকডাউন কার্যকর করতে শহরের সমস্ত জায়গায় অফিসাররা মোতায়েন থাকবেন। যাদের স্বার্থপর আচরণে লন্ডনবাসীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইতালিতেও নতুন ভাইরাস: যুক্তরাজ্যের পর এবার ইতালিতেও নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। রবিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে নতুন যে প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে, ওই ইতালীয় নাগরিকের শরীরেও একই প্রজাতির ভাইরাস পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে এক ফ্লাইটে তার সঙ্গীকে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন বলে জানা গেছে। বিমানে প্রথমে তারা রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে নামেন। আপাতত তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *