সামরিক শাসন, কৌসুলি নিয়োগ: ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠদের বৈঠকে বচসা

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠদের মধ্যে উত্তপ্ত এক বচসা হওয়ার খবর দিচ্ছে নিউইয়র্ক টাইমস, সিএএনএন। নির্বাচনের ফল এখনও মেনে নেননি তারা। এখন কী করা হবে, সেই প্রশ্নে সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন ও তার আইনজীবী সিডনি পাওয়েল– এই দুজনের দুটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্যের সূত্রপাত, যা তুমুল বিতণ্ডায় রূপ নেয়।

প্রথমজনের পরামর্শ সামরিক শাসন জারির, আর দ্বিতীয়জন ভোটের অনিয়ম তদন্তে নিজের নিয়োগ চান কৌসুলি হিসেবে। দুটো পরামর্শই সাংঘাতিক ঠেকেছে অন্যপক্ষের দৃষ্টিতে। তখনই এগুলোকে প্রতিহত করা হয়।ওই সভায় ছিলেন এমন দুজন সংবাদমাধ্যমকে সেই সভার উত্তেজনার বিষয়টা জানান।ওভাল অফিসে তাৎক্ষণিকভাবে সভাটি ডেকেছিলেন ট্রাম্প নিজেই।তবে তিনি কোনো পরামর্শ গ্রহণ বা সমর্থন করেছিলেন কিনা সে বিষয়ে ওই দুজনের কাছ থেকে জানা যায়নি।

সামরিক শাসনের কথা ফ্লিন কদিন আগে গণমাধ্যমেও বলেছিলেন। আর পাওয়েল নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে একজন বিশেষ কৌসুলি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা ‍তুলে ধরেন। এবং সেই পদে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করেন। একই সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের নির্বাহী কর্তৃত্বের কাছ থেকে অনুমোদন চান।বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে হোয়াইট হাউজের চীফ অব স্টাফ মার্ক মিডো এবং কাউন্সেল প্যাট কিপোলোন এসব পরামর্শের ব্যাপক বিরোধিতা করেন।

এই ঘটনাকে বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন কুৎসিত হিসেবে অভিহিত করেন। আর ফ্লিন এবং পাওয়েল বাকিদের বিরুদ্ধে দুঃসময়ে ট্রাম্পকে ছেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন।সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের একজন বলেন, খুবই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। সত্যিই মারামারি বেধে গিয়েছিল ওভাল অফিসে। খুবই মারমুখী ছিল সবাই। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের শীর্ষব্যক্তিদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *