বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত এ বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘করোনার জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছর বিজিবি দিবস পালন করা হচ্ছে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এই দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। মহামারির এই পরিস্থিতিতেও আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ইছামতি নদীর পাশের জেলেদের ১০০ নৌকা দিয়েছে।’
বিজিবির পরবর্তী চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত দিক থেকে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। বিজিবিও তাল মিলিয়ে সময় উপযোগী করে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজিবি সদস্যদের নতুন নতুন অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ করতে হবে।’
সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বিলেন, ‘কূটনৈতিক আলোচনা ও সীমান্তবর্তী জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।’
প্রসঙ্গত, সোয়া দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই আধাসামরিকবাহিনীর নাম স্বাধীনতার আগে ছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এর নাম হয় বাংলাদেশ রাইফেলস। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় রক্তাক্ত বিদ্রোহ এবং ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নাম বদলে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। বাহিনীর পোশাক ও পতাকাতেও পরিবর্তন আসে। বিজিবি পুনর্গঠনের পর থেকে প্রতি বছর ২০ ডিসেম্বর বিজিবি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।