ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট মতে দেশটির কৃষক বিক্ষোভ অচিরেই জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হবে। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান খোঁজার তাগাদা দিয়ে আদালত বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনায় কাজ হবে না আর তা আবারও ব্যর্থ হবে। কৃষক ও সরকার পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি দিল্লি, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্য সরকারের উদ্দেশে নোটিশ পাঠিয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছে আদালত। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।টানা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে ভারতের কৃষকেরা
ভারতে নতুন পাস হওয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে দেশটির লাখ লাখ কৃষক। কৃষক ও সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে ইতোমধ্যে পাঁচ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হলেও তাতে সংকট নিরসন হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে সরকারের আইন সংস্কারের প্রস্তাব কৃষকেরা প্রত্যাখ্যান করেছে। আইন বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছে তারা।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, ‘সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলো এবং আছে। জটিলতা হলো কৃষকদের হ্যাঁ/না অবস্থান। বিভিন্ন মন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেছে কিন্তু তারা পিছু হটেছে এবং আলোচনা করেনি।’
শুনানিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, সরকারকে আশ্বস্ত করতে হবে যে তারা কৃষকদের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনও কিছু করবে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের আলোচনা আবারও ব্যর্থ হবে কারণ তারা রাজি হবে না। আমাদের সামনে আসতে পারে এমন সংগঠনগুলোর নাম দিন… এটি শিগগিরই জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হবে আর আলোচনার মধ্য দিয়েই এর সমাধান হতে হবে।’
উল্লেখ্য, ভারত সরকার সম্প্রতি কৃষি আইনে বদল করে করপোরেট চাষ ও কৃষকদের কাছ থেকে যত খুশি ফসল কেনার অনমুতি দিয়েছে। করপোরেশনগুলি কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে কী চাষ করতে হবে সেটাও বলে দিতে পারবে। কৃষকদের ধারণা, এর ফলে তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে। তারা শেষ পর্যন্ত করপোরেশনের দাসে পরিণত হবেন। সুবিধা হবে বড় সংস্থাগুলির। কয়েক বছরের মধ্যে কৃষিতে তাদের একচেটিয়া বাজার প্রতিষ্ঠা হবে।