কৃষক আন্দোলন ২০ দিনে, পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থির

আন্তর্জাতিক

দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক আন্দোলন ২০ দিনে পা দিয়েছে। হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, সীমান্তে পরস্থিতি ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে। ৬০ হাজার প্রতিবাদী কৃষক ক্যাম্প করে রয়েছেন সেখানে। যদিও কৃষকরা জানিয়েছেন, সেই সংখ্যা আরও বেশি।

কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যোগ দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যাচ্ছেন হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা সীমান্তে নাকা চেকিং চালাচ্ছে পুলিশ। সীমান্তে পুলিশকর্মীদের উপস্থিতি প্রতিবাদী কৃষকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে বলেও মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

বর্ডার সিল করতে হলেও সেই প্রস্তুতি নেওয়া আছে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার ডিজিপি মনোজ যাদব। যাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই বর্ডার খোলা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে ২টি জাতীয় সড়ক দিল্লি-আম্বালা ও দিল্লি-হিসার বন্ধ করা হয়েছে। দিল্লিতে ঢুকতে গেলে সংযুক্ত গ্রামের রাস্তা দিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এক অফিসার জানিয়েছেন, প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। অবস্থানকারীদের সংখ্যা না বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, পাঞ্জাব থেকে যাতে বেশি সংখ্যক প্রতিবাদী দিল্লি সীমান্তে না যান, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে অমরিন্দর সিংয়ের প্রশাসনকে।

রাজধানীতে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ধরণের অসুস্থতা নিয়ে ইতোমধ্যে ৩০ থেকে ৪০ জন প্রতিবাদী কৃষক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে, বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন বন্ধ হবে না বলেও অনড় কৃষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *