যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেট বিলে ভেটো দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে ট্রাম্পের ভেটো। রোববার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এক টুইট বার্তায় এ কথা জানান তিনি।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ট্রাম্পের ভেটো আটকাতে পারবে না এ বিল।
গত সপ্তাহের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়েছে এ বারের সামরিক বাজেট বিল। সংসদের দু’কক্ষেই তা পাশ হয়ে গিয়েছে।
রোববার ট্রাম্প জানিয়েছেন, সংসদে বিল পাশ হলেও তিনি প্রেসিডেন্টের বিশেষ ভেটো প্রয়োগ করবেন বিলটির বিরুদ্ধে। যদিও কেন তিনি ভেটো দিতে চান সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো কারণ দেখাননি ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, এই বিল পাশ হলে চীনের সুবিধা হবে। তবে কোন দিক থেকে সুবিধা হবে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
এ দিকে আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে ট্রাম্পকে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তার আগে সামরিক বাজেট বিলে ভেটো দিয়ে আরো একবার নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ট্রাম্প ভেটো দিলেও তা গ্রহণযোগ্য না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোটে পাশ হয়েছে সামরিক বাজেট বিল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে একে বলা হয় সুপার মেজরিটি। এ পরিমাণ মেজরিটি থাকলে প্রেসিডেন্টের ভেটো কাজ করে না।
সেনেটে বিলটি ৮৪-১৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসে ৩৩৫-৭৮ ভোটে পাশ হয়েছে বিলটি। অর্থাৎ, দুই-তৃতীংশেরও বেশি ভোটে পাশ হয়েছে বিলটি। এই বিলে সামরিক কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এ বছরের জন্য ৭৪০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক বাজেট করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্প এ বিলে ভেটো দিতে চাইছেন কারণ, এখানে জার্মানি থেকে মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়েও কোনো কথা নেই। সামরিক বাজেট বিলে এ সব বিষয় থাকার কথাওনয়। কিন্তু ট্রাম্প চেয়েছিলেন এই বিষয়গুলো বিলে থাকবে।
তবে ট্রাম্পের অভিযোগ, গুগল, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তার বিরুদ্ধে। ফলে সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে চাপে রাখতে বিশেষ আইন তৈরি করতে চান তিনি। কিন্তু সংসদ তার ওই বক্তব্য সমর্থন করেনি।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে