ইনিংস পরাজয় এড়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল আরো ৮৬ রান। হাতে ছিলো মাত্র চার উইকেট। তবে ক্যারিবীয়দের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম ছিল অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। যিনি অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। জসুয়া ডি সিলভাও উইকেটে প্রায় সেট হয়ে গিয়েছিলেন। অপরাজিত ছিলেন ২৫ রানে। কিন্তু চতুর্থ দিনে এরা কেউই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না। জেসন হোল্ডার মাত্র ১ রান যোগ করেই ফিরে যান সাজঘরে।
জসুয়া ডি সিলভা যা একটু লড়াই করেন। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন অ্যালজারি জোসেফকে। তবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। হ্যামিল্টনের মতো ওয়েলিংটন টেস্টও ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছে ইনিংস ও ১২ রানে। এ জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
সিরিজ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া ও দুইয়ে থাকা ভারতের সঙ্গে শতাংশের ব্যবধান কমালো ব্ল্যাকক্যাপসরা। এক নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহে ২৯৬ পয়েন্ট। যা তাদের সম্ভাব্য মোট পয়েন্টের ৮২.২ শতাংশ। দুইয়ে থাকা ভারতের নামের পাশে আছে ৩৬০ পয়েন্ট। যা মোট পয়েন্টের ৭৫ শতাংশ। নিউজিল্যান্ড তিন নম্বরে আছে ৩০০ পয়েন্ট নিয়ে। চার সিরিজের মোট পয়েন্টের যা ৬২.৫ শতাংশ। তাদের পরই আছে ইংল্যান্ড তাদের পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার ৬০.৮ শতাংশ।
নিজেদের পয়েন্ট অ্যাকাউন্ট বড় করতে হ্যামিল্টনে চতুর্থ দিন খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। ছয় উইকেটে ২৪৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা উইন্ডিজ, স্বাগতিক পেইসারদের সামনে টিকতে পারে ১৩.৩ ওভার। শুরুতেই আউট হন জেসন হোল্ডার। আগের দিনের ৬০ রানের সঙ্গে আর মাত্র ১ রান যোগ করে টিম সাউদির বলে বোল্ড হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। এরপর সফরকারী দলের গুটিয়ে যাওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। অভিষেক টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে কিছুক্ষণ স্বাগতিকদের জয় ঠেকিয়ে রাখেন জশুয়া সিলভা। ৫৭ রান করে নিল ওয়াগনারের বললে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। আলজারি জোসেফ করেন ২৪ আর কেমার হোল্ডার ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে, এতে বড় পরাজয় এড়াতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। ৩১৭ রানে অলআউট হয় তারা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন বোল্ট ও ওয়াগনার। অনবদ্য সেঞ্চুরির কারণে ম্যাচসেরা হন হেনরি নিকোলস। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন ফাস্ট বোলার কাইল জেমিসন।