বরখাস্তের গুজব, অসম্মানিত বোধ করছেন জেমি ডে

খেলাধুলা

বৃহস্পতিবার রাতে গুজব ছড়ায় জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডেকে বরখাস্ত করেছে বাফুফে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি আতাউর রহমান মানিককে উদ্ধৃত করে একটি টিভি চ্যানেলে প্রকাশ হয় যে, কাতারে ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত হচ্ছেন প্রধান কোচ জেমি ডে। এমন গুজবে অবাক হয়ে যান ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এমপি। জেমিকে বরখাস্ত করার কোনো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নেয়নি বলে জানান তিনি।

ব্রিটিশ এ কোচকে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় ওঠে। সুদূর ইংল্যান্ডে থাকা জেমিও এই খবরে বিস্মিত হয়ে যান। মাত্রই করোনা থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশ কোচ শুক্রবার সমকালকে শুধু এটুকুই বলেছেন, এই সংবাদটি তার জন্য অসম্মানজনক, ‘আমি মনে করি এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। আমাকে বরখাস্ত করার সংবাদটি সম্পূর্ণ গুজব। কিন্তু এমন নিউজ আমার জন্য অসম্মানজনক। এমন খবর শুনে আমি খুব অবাক হয়েছি। তবে আপনাকে মানতে হবে, এটাই ফুটবল। আর এসব নিয়েই কিন্তু চলতে হবে। ইতোমধ্যে আজ আমি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আগামী বছরের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছি।’

গত নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আগে করোনায় আক্রান্ত হন জেমি ডে। যে কারণে দলের সঙ্গে কাতারে যেতে পারেননি। ম্যাচ শুরুর চার দিন আগে কভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া জেমি কাতার ম্যাচে বাংলাদেশের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫-০ গোলে। তিন বছর ধরে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকা জেমি কাতারের বিপক্ষে রেজাল্ট নিয়ে মোটেও হতাশ নন। মাত্র পাঁচ সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজকদের সঙ্গে এর চেয়ে বেশি লড়াই করার সামর্থ্য নেই বাংলাদেশের। ইতোমধ্যে সামনের বছরের পরিকল্পনা নিয়ে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটিশ এ কোচ। আর বড়দিনের ছুটির পর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কিংবা জানুয়ারির শুরুর দিকে ঢাকায় আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ডাক্তারের পরামর্শে চার সপ্তাহের জন্য বিশ্রাম নিতে হবে জেমিকে।

তার সময়ে বাংলাদেশের ফুটবল উন্নতি করেছে বলেও দাবি করেছেন জেমি, ‘আমার সময়ে বাংলাদেশ দল অনেক উন্নতি করেছে। দলের উন্নতিতে আমি খুশি। পরিসংখ্যান বিশ্নেষণ করলে আপনি দেখবেন ৪৪ ভাগ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। আর আপনি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ বাদ দিলে ১৬টি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৯টিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *