ফেসবুক ও গুগল নিজেদের প্ল্যাটফর্মে সংবাদ প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে এমন একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
পার্লামেন্টের কোষাধ্যক্ষ জশ ফ্রাইডেনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই আইন ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সংবাদমাধ্যমের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করবে।’
প্রস্তাবিত এই আইনের নাম দেওয়া হয়েছে নিউজ মিডিয়া অ্যান্ড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস মেন্ডেটরি বারগেইনিং কোড।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডিডব্লিউ-এর খবরে বলা হয়েছে, ফেসবুক ও গুগল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশ করে সেগুলোতে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের অর্থ সংবাদ মাধ্যমগুলো সঠিকভাবে পায় না। এমন বৈষম্য দূর করতেই এই উদ্যোগ।
খসড়া আইনে যা আছে :
এই আইনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করতে উৎসাহিত করা হবে বিভিন্ন টেক জায়ান্টকে।
যদি তারা নিজেরা এমন চুক্তিতে একমত হতে না পারে, তাহলে একজন স্বাধীন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। আইন না মানলে এক কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৬৩ কোটি বাংলাদেশি টাকা) পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।
শুরুতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বাদ দেওয়া হলেও এখন খসড়ায় সেগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আপাতত খসড়া আইনে কেবল ফেসবুক নিউজ ফিড এবং গুগল সার্চকে অন্তর্বুক্ত করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে অন্য কোনও প্ল্যাটফর্ম একইভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে তাদেরও এই আইনের আওতায় আনা হবে।
ফেসবুক-গুগলের প্রতিক্রিয়া :
প্রস্তাবিত এই আইন নিয়ে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে ফেসবুক৷ এমনকি অর্থ পরিশোধ করার বদলে ‘অস্ট্রেলিয়ার কোনও সংবাদ ফেসবুকে প্রকাশ করা হবে না’ এমন হুমকিও দিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সরকার ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে সেটাই ‘ঠিকমতো বুঝতে পারছে না।’
এই আইনে সরকার যাদের রক্ষা করতে চাচ্ছে, সেই সংবাদমাধ্যমগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মনে করছে ফেসবুক।
ফেসবুক অস্ট্রেলিয়ার ব্যবস্থাপক উইল ইটসন খসড়া সবার জন্য উন্মুক্ত করার পর তা পড়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন৷
গুগল জানিয়েছে, এমন আইন পাস হলে তা ব্যবহারকারীদের গুগল সার্চ এবং ইউটিউব ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। সূত্র: ডিডব্লিউ।