ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ও চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রুটে বন্ধ থাকা ফেরি চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে পৃথক পৃথক সময়ে এসব নৌরুটে স্বাভাবিক হয় ফেরি চলাচল।
এর আগে ঘন কুয়াশার কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আজ ভোরে কুয়াশা কমে গেলে পুনরায় চালু হয় ফেরি।
বিআইডাব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে কুয়াশার ঘনত্ব তীব্র আকার ধারণ করলে পদ্মার দিক নির্দেশক বাতি অস্পষ্ট হয়ে আসে। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুয়াশা কমে এলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করে। মাঝ পদ্মায় নোঙর করে রাখা ফেরিও গন্তব্যে পৌঁছায়।
বিআইডাব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ নৌরুটে তিনটি রোরো ফেরিসহ মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। ঘন কুয়াশার কারণে নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়। কুয়াশা কমে যাওয়ায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদীপারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ও গোয়ালন্দ মোড়ের সড়কে আটকা পড়েছে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েক শ যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক-হেলপার ও যাত্রীরা।
এছাড়া একই কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটেও ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মেঘনা নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটেও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
বিআইডাব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিনা ঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ জানান, নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় সকাল ৮টায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।