প্রথমার্ধে একবার জালের দেখা পাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিরতির পর যেন গোল উৎসবে মাতল। আগের ম্যাচে জয়সূচক গোল করা মার্কাস র্যাশফোর্ড এবার বদলি নেমে ১৮ মিনিটে করলেন দারুণ এক হ্যাটট্রিক। লাইপজিগকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল উলে গুনার সুলশারের দল।ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ৫-০ গোলে জিতেছে প্রিমিয়ার লিগের দলটি। র্যাশফোর্ডের তিন গোল ছাড়া একবার করে জালের দেখা পান ম্যাসন গ্রিনউড ও অঁতনি মার্সিয়াল।
ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো প্রথম ম্যাচে পিএসজির মাঠে ২-১ গোলে জিতে আসা ইউনাইটেড। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেদের শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান লাইপজিগ গোলরক্ষক।
২১তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন গ্রিনউড। পল পগবার বাড়ানো বল ডি-বক্সের বাঁ দিকে পেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে গোলের উদ্দেশে আর একটি শটও নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। গত আসরের সেমি-ফাইনালিস্ট লাইপজিগ এই সময়ে কিছু সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি।
৫২তম মিনিটে ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টির আবেদন করলেও সাড়া দেননি রেফারি। ৬৫তম মিনিটে খুব কাছ থেকে লাইপজিগ ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতের হেড কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া।
৬৩তম মিনিটে গ্রিনউডকে তুলে র্যাশফোর্ডকে নামান কোচ। তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ডের গোলের দেখা পেতে বেশি সময় লাগেনি; ৭৪ থেকে ৭৮, চার মিনিটের ব্যবধানে করেন দুই গোল।
মাঝমাঠ থেকে ব্রুনো ফের্নান্দেসের পাস ধরে এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে প্রথম গোলটি করেন তিনি। লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। আর কোনাকুনি শটে দ্বিতীয় গোলটি করেন ২২ বছর বয়সী র্যাশফোর্ড।
৮৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের চার নম্বর গোলটি করেন মার্সিয়াল। ফরাসি এই ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল ইউনাইটেড। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন র্যাশফোর্ড।
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইউনাইটেড। আরেক ম্যাচে ইস্তানবুল বাসাকসেহিরকে ২-০ গোলে হারানো পিএসজি ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে, সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে লাইপজিগ। বাসাকসেহির এখনও কোনো পয়েন্ট পায়নি।