দেখতে দেখতে কেটে গেল একটি বছর। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। আইসিসির দেওয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে এবার মুক্ত হলেন সাকিব। ঘরের ছেলে এবার ঘরে ফিরে আসবে। আনুষ্ঠানিকভাবে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম শুরু করতে এখন আর কোনো বাধা নেই বিশ্বসের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের।আগামী মাসে নভেম্বরের মাঝামাঝি যে টি-২০ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে, এই টুর্নামেন্টে খেলা দিয়েই আবার ক্রিকেট খেলতে নামবেন সাকিব। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪ নভেম্বর দেশে ফিরতে পারেন তিনি। ক্রিকেটপ্রেমীরা আবারো সাকিবকে দেখতে পাবেন বাইশ গজের আঙিনায়।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের বাবা হন সাকিব। তাই লম্বা সময় যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন তিনি। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় সেখানে থেকে তিনি দেশে ফিরেছিলেন গত ২ সেপ্টেম্বর। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরু করেছিলেন।
সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পরের দিনগুলো খুব বেশি ভালো কাটেনি বাংলাদেশের জন্য। মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটে সিরিজ জয় ছাড়া বাকি সবগুলো সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। তবে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-২০ জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা।
নিষিদ্ধ থাকার কারণে আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে এতদিন ছিল না সাকিবের নাম। ২৯ অক্টোবর ফের আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করবেন তিনি।
ইতোমধ্যেই তাকে স্বাগত জানানো শুরু করেছেন সতীর্থরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সাকিবকে স্বাগত জানানোর ঢেউ। সতীর্থ, কোচ, নির্বাচক, ক্রিকেট প্রশাসন থেকে শুরু থেকে দেশের কোটি কোটি ভক্ত আছেন সাকিবের ব্যাট-বলের দ্যুতি দেখার অপেক্ষায়। তবে দীর্ঘ এক বছর পর আবার খেলতে নেমেই যে তিনি তাক লাগিয়ে দেবেন, তা প্রত্যাশা করছেন না রাসেল ডমিঙ্গো।