ইস্তাম্বুল বাসাকশেহিরের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। কয়েক ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। এমনকি ইনজুরি বড় হলে মিস করতে পারেন ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচও।
বুধবার রাতের ম্যাচে ২৪ মিনিটের মাথায় ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তবে ম্যাচটা জিততে অসুবিধা হয়নি পিএসজির। ২০ বছর বয়সী ইতালির ফরোয়ার্ড ময়েস কিয়েন জোড়া গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। তার দুই গোলেই সহয়তা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তবে জয় ছাপিয়ে পিএসজি কোচ টমাস টুখেলের চিন্তায় নেইমার। কারণ আগামী ১০ দিনে পিএসজির খেলতে হবে তিনটি ম্যাচ। তার মধ্যে দুটি লিগে। অন্যটি চ্যাম্পিয়নস লিগে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ম্যানইউয়ের বিপক্ষে হারে ইউরোপ সেরার আসর শুরু করা পিএসজির জন্য ওই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নেইমারকে ওই ম্যাচে পাবেন কি-না জানেন না সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ টুখেল। নেইমারের ইনজুরি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তাকে তুলে নিতেই হতো। এখন তার ইনজুরির অবস্থা বুঝতে পরীক্ষা করাতে হবে। তার ব্যথা গুরুতর নয়। তবে অস্বস্তি আছে। কয়েক ম্যাচের জন্য আমরা তাকে হারাতে পারি।’
চলতি মৌসুমে নেইমার পিএসজির হয়ে ছয় ম্যাচ খেলে দুই গোল করেছেন ও তিন গোলে সহায়তা দিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই তিনি পিএসজির হয়ে খেলতে পারেননি। শুরুতে তাই লিগে ভালোও করেনি পিএসজি। এরপর ফিরে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তার ইনজুরি গুরুতর নয় মনে করছেন কোচ টাখেল। কিন্তু আগে থেকে বলা যাচ্ছে না, আগামী ১৪ নভেম্বর ভেনেজুয়েলা এবং ১৮ নভেম্বর উরুগুয়ের বিপক্ষে তিনি খেলতে পারবেন কিনা।